• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
চলে গেলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়ী

ছবি : সংগৃহীত

ভারত

চলে গেলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ আগস্ট ২০১৮

মারা গেলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। দীর্ঘ অসুস্থতার পর ৯৩ বছর বয়সে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে অটলবিহারী বাজপেয়ীর একটি কিডনি অচল ছিল। ২০০৯ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে তার স্মৃতিশক্তিও অনেকটা লোপ পায়। অসামান্য বাগ্মীতার জন্য খ্যাতিমান, এই নেতা গত কয়েক বছর ধরে কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়েছিলেন অনেকটাই। কিডনি, মূত্রনালী ও বুকে সংক্রমণ নিয়ে গত ১১ জুন থেকে টানা হাসপাতালেই ছিলেন তিনি।

আজ স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা পাঁচ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটস অব মেডিকেল সায়েন্সেস’র(এআইআইএমএস) বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এর আগে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে মেডিকেল বুলেটিন জার্নাল এআইআইএমএস জানায়, বাজপেয়ীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাকে।

বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে ছুটে যান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজপেয়ীর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তিনি। হাসপাতালে প্রায় ৫০ মিনিট ছিলেন মোদি।

মোদি ছাড়াও বাজপেয়ীকে দেখতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, হর্ষ বর্ধন এবং বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি, স্মৃতি ইরানি।

চিকিৎসক আরতি ভিজ সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, গত নয় সপ্তাহ ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

এআইআইএমএস’র ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়ার তত্ত্বাবধানে বাজপেয়ীর চিকিৎসা চলছিল। নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি এবং পালমোনোলজি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত একটি মেডিকেল টিম তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছিল।

১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ সালে পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। প্রথম দফায় ১৩ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১৩ মাস আর তৃতীয় দফায় পূর্ণ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads