• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কেরালায় বন্যা-ভূমিধসের ঘটনায় শতাধিকের মৃত্যু

বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা

ছবি : ইন্টারনেট

ভারত

কেরালায় বন্যা-ভূমিধসের ঘটনায় শতাধিকের মৃত্যু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৭ আগস্ট ২০১৮

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এখনো সেখানে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি শনিবারের আগে থামার সম্ভাবনা নেই বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এরই মধ্যে রাজ্যটির প্রায় দেড়লাখ বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অধিবাসীদের সরিয়ে নিতে উদ্ধারকর্মীরা জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। টানা বৃষ্টিতে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বাঁধ খুলে দিতে বাধ্য হলে কেরালার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।

প্রায় এক শতকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্তত ১০৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানালেও ইকোনমিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে ১১৪ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য কর্তৃপক্ষ। আরো বৃষ্টি এবং বন্যা-ভূমিধসের আশঙ্কার দক্ষিণের এ রাজ্যটির ১৪টি জেলার ১৩টিতেই সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জনসাধারণকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার।

আকস্মিক বন্যার কারণে রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক জেলাতেই পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার, লাইফবোটের পাশাপাশি বিভিন্ন বাহিনীর হাজারও সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, ‘আমরা এমন কিছু প্রত্যক্ষ করছি, কেরালার ইতিহাসে আগে যা কখনোই দেখা যায়নি। প্রায় সব বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। যেসব প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হতো তার বেশিরভাগই তলিয়ে গেছে। মটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’। পার্শ্ববর্তী রাজ্য তামিলনাড়ু একটি বাঁধের ফটক খুলে দিলে পরিস্থিতির অবনতি হয়। এটিকে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেও মেনে নিয়েছেন এ সিপিএম নেতা।

কেরালার বাণিজ্যিক রাজধানী কোচির অনেক এলাকা ডুবে যাওয়ায় সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বন্যার পানিতে রানওয়ে ডুবে যাওয়ায় কোচি বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত ত্রিচুর, আলুভা ও মুভাত্তুপুঝায় আটকে পড়া মানুষদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে ভারতের সশস্ত্রবাহিনী। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে নতুন করে সামরিক বাহিনীর তিনটি উইংকে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১২টি দল আগে থেকেই মোতায়েন আছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads