• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
যুক্তরাষ্ট্রে হামলার জন্য চীনের প্রশিক্ষণ

প্রতীকী ছবি

ভারত

পেন্টাগন রিপোর্ট

যুক্তরাষ্ট্রে হামলার জন্য চীনের প্রশিক্ষণ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৮ আগস্ট ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য চীন সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসে দেওয়া এই রিপোর্টে পেন্টাগন বলছে, চীন তাদের বোমারু বিমানগুলোকে যেন আরো দূরে পাঠানো যায় সেই সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে চীন এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। বিবিসির খবর।

পেন্টাগনের প্রতিবেদনটি মূলত চীনের সামরিক সক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি মূল্যায়ন। এতে বলা হয়, বর্তমানে চীনের বার্ষিক সামরিক ব্যয় ১৯০ বিলিয়ন ডলারের মতো। যদিও এটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ। গত তিন বছরে পিপলস লিবারেশন আর্মি সাগরে নাটকীয়ভাবে তাদের বোমারু বিমানগুলোর বিচরণ এলাকা বাড়িয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্রপথের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অঞ্চলে। এর পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। এতে বলা হয়, চীন এর মাধ্যমে কী অর্জন করতে চাচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। চীন তাদের স্থলবাহিনীকেও পুনর্গঠন করছে যাতে তারা লড়াইয়ে জয়ী হতে পারে।

পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়, এসব সংস্কারের লক্ষ্য আরো গতিশীল এবং মারাত্মক এক স্থলবাহিনী তৈরি করা, যা দিয়ে যৌথ অভিযানে তারা মূল শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। আগামী দশ বছরে চীনের সামরিক ব্যয় ২৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেভাবে চীনের শক্তি ও প্রভাব বাড়ছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে সম্প্রতি উত্তেজনা অনেক বেড়েছে। চীন দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ অংশ চীন এবং অন্যান্য দেশ তাদের বলে দাবি করে। দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে যে তাদের নৌ চলাচলের অধিকার আছে, সেটা প্রমাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই ওই অঞ্চলের আকাশে তাদের বিমান পাঠায়।

তবে চীনও তাদের পাল্টা আধিপত্য বিস্তারে সেখানে সাগরের মাঝখানে কৃত্রিম দ্বীপ সৃষ্টি করে সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সময় সেখানে চীনের সামরিক বিমানও অবতরণ করেছে। শুরু থেকেই এই কৃত্রিম দ্বীপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি জানিয়ে আসছে। এ ছাড়া চীন-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনার আরেকটি কারণ তাইওয়ান। চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ।

পেন্টাগনের রিপোর্টে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, চীন হয়তো জোর করে তাইওয়ানকে তাদের অংশ করার একটি পরিকল্পনার প্রস্তুতি রাখছে। চীনকে আস্থায় নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তারপরও কিন্তু তারা তাইওয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads