• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলায় ক্রিকেট

ছেলে-মেয়েদের এসব সব অনুশীলন করানো হয় যেখানে কোন ভেদাভেদ নেই

ছবি : ইন্টারনেট

ভারত

লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলায় ক্রিকেট

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ আগস্ট ২০১৮

ভারতে ক্রিকেট নিছক কোনো খেলা নয়, বরং এর সঙ্গে মিশে আছে গোটা জাতির আবেগ অনুভূতি। বিবিসি জানায়, ভারতজুড়ে প্রায় প্রতিটি স্কুলে লাখ লাখ শিক্ষার্থী ক্রিকেট খেলার নানা কৌশল অনুশীলন করে থাকে। তবে এখানে যে স্কুলটির কথা বলা হচ্ছে সেখানে ক্রিকেট অনুশীলনের উদ্দেশ্য আরেকজন ভিরাট কোহলির মতো সুপারস্টার তৈরি করা নয়। তাদের লক্ষ্য ক্রিকেট চর্চার মাধ্যমে প্রথাগত লৈঙ্গ বৈষম্যকে চ্যালেঞ্জ করে সমতা প্রতিষ্ঠা করা।
সুমিত্রা কুমারী পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক।

তিনি বলেন, ‘ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০% মানুষ গ্রামে বসবাস করে। যেখানে অনেক শিশুকে নারী পুরুষের আলাদা ভূমিকার গৎবাঁধা ধারণার মুখোমুখি হতে হয়। গ্রামীণ পরিবেশে নারী পুরুষের মধ্যে বড় ধরণের পার্থক্য দেখা যায়। প্রথমত, সেখানে মেয়েদের স্বাধীনভাবে চলাফেরায় বড় ধরণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে কাজের ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে আশা করা হয় যে তারা বাড়ির বাইরের সব কাজ করবে যেখানে মেয়েরা ব্যস্ত থাকবে ঘরের ভেতরের কাজকর্ম নিয়ে। যদি একটি মেয়ে বিভিন্ন ধরণের খেলা যেমন, সাঁতার, ক্রিকেট বা ফুটবলে অংশগ্রহণ করতে চায়, তখনই তাদের লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হতে হয়। একইভাবে, যদি কোন ছেলে রান্নাবান্না করতে বা নাচতে আগ্রহী হয় তবে তাকেও সমাজের ভ্রূকুটি সহ্য করতে হয়। কেউ সহযোগিতা দূরে থাক উল্টো তাদের উপহাস করতে থাকে।’

গৎবাঁধা মানসিকতা

এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করে। যার নাম রাখা হয় দ্য চেইঞ্জিং মুভস, চেইঞ্জিং মাইন্ড। অর্থাৎ কাজের পরিবর্তনের মাধ্যমে মানসিকতার পরিবর্তনের চেষ্টা। এই প্রকল্পের আওতায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্রিকেট ও নাচ শেখানো হয়। ব্রিটিশ কাউন্সিলের আশা এর মাধ্যমে তারা ভারতীয় সমাজের গৎবাঁধা মনোভাবে পরিবর্তন আনতে পারবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালক অ্যালান গেমেল মনে করেন, খেলার একটি সার্বজনীন ভাষা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘খেলা একটি দলগত কাজ। যেখানে সবাইকে একীভূত করা যায়। এক্ষেত্রে সারা ভারতজুড়ে ক্রিকেট এমনই একটি শক্তিশালী সংযোগ স্থাপনকারী খেলা।’

এই স্কিমে অংশগ্রহণকারী শিশুদের নৃত্য এবং ক্রিকেটের দক্ষতার ওপর ধারাবাহিক অনুশীলন করানো হয়। যেমন নাচের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মুদ্রা ও কোরিওগ্রাফি এবং ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের কৌশল শেখানো হয়। গেমেল বলেন, ‘এসব বিষয়ে পাঠদানের মাধ্যমে গৎবাঁধা ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। যেখানে এটা বোঝানো হয় যে ছেলেদের কাজ বা মেয়েদের কাজ বলে কোন কথা নেই। কাজ সবার ক্ষেত্রে সমান’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads