• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বয়স কখনোই বাধা নয়

শতবর্ষী কারতিয়ানিয়াম্মা কৃষ্ণপিল্লাই

ছবি : ইন্টারনেট

ভারত

বয়স কখনোই বাধা নয়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০২ নভেম্বর ২০১৮

ইচ্ছে থাকলে সবই সম্ভব, বয়স কখনোই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না- সেটাই আবার প্রমাণ করে দিলেন ভারতের কেরালা রাজ্যের আলাপ্পুঝার জেলার মাত্তম গ্রামের বাসিন্দা শতবর্ষী কারতিয়ানিয়াম্মা কৃষ্ণপিল্লাই। কেরালা সাক্ষরতা মিশন কর্তৃপক্ষের পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ৯৮ শতাংশ নম্বর। একই সঙ্গে হয়েছেন প্রথম। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।

তার এখন বয়স ৯৬ বছর। চলতে-ফিরতে কষ্ট হলেও তার অদম্য ইচ্ছা আর কর্মস্পৃহাকে দমাতে পারেনি বয়স। কৃষ্ণপিল্লাই কোনো দিন স্কুলে যাননি। বাড়ির আশপাশের মন্দিরগুলোয় সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সাক্ষরতা মিশনের ‘অক্ষরালক্ষম’ প্রকল্পের মাধ্যমে তার পড়াশোনা শুরু। তারই চতুর্থ শ্রেণির সমতুল্য পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন তিনি।

মিশনের অধীনে চতুর্থ, সপ্তম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সমতুল্য পরীক্ষায় মোট ৪৩ হাজার ৩৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৪২ হাজার ৯৩৩ জন। কৃষ্ণপিল্লাই বলেন, ভালো নম্বর পেয়ে আমি খুব খুশি। আমি এখন জানি কীভাবে লিখতে, পডতে ও অঙ্ক করতে হয়। আমাদের সময়ে নারীরা স্কুলে যেত না। ২০১৬ সালে আমার ছোট মেয়ে আম্মিনিয়াম্মা দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করার পর আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিই।

 দুই নাতনি, ১২ বছরের অপর্ণা ও ৯ বছরের অঞ্জনা আমাকে পড়াশোনায় সাহায্য করেছে। বুড়িমার এমন ক্যারিশম্যাটিক ফলাফলে গর্বিত সাক্ষরতা মিশন কর্তৃপক্ষের প্রধান পিএস শ্রীলতা। তিনি বলেন, নব্য সাক্ষরকারীদের মধ্যে তিনি প্রথম হয়েছেন। তার সাফল্যে আমরা গর্বিত। উনি স্বেচ্ছায় পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ‘অক্ষরালক্ষম’ প্রকল্প শুরু হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য ১০০ শতাংশ সাক্ষরতার লক্ষ্য পূরণ করা। প্রথম পর্যায়ে ৪৭ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী ক্লাস শুরু করে। ২ হাজার ৮৬টি কেন্দ্রে তাদের পাঠদান করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads