• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
২৮ মে শপথ নিতে পারেন মোদি

ছবি : সংগৃহীত

ভারত

২৮ মে শপথ নিতে পারেন মোদি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৫ মে ২০১৯

বিপুল বিক্রমে আবারো ভারতের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর পর দুবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি।

বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। দ্বিতীয়বার শপথ নিতে চলেছেন তিনি। ২০১৪ সালে বিজয়ী হয়ে অবশ্য মোদি ২৬ মে শপথ নিয়েছিলেন। তবে সরকারিভাবে ২৮ মে শপথ গ্রহণের কথা এখনো জানানো হয়নি।

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ দিল্লির কুরসিতে ফেরার পরেই সরকারের শপথ গ্রহণের দিন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, শ্রীলঙ্কার সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই উপস্থিত ছিলেন। তবে এবার তেমন কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে বিজেপি সূত্র জানায়।

এদিকে মন্ত্রিসভা গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। এবারের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের থাকার সম্ভাবনা নেই। তিনি এবার নির্বাচনে দাঁড়াননি। তাছাড়া কিডনি পরিবর্তন হয়েছে তার কিছুদিন আগেই। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও অসুস্থ। তারও কিডনি পরিবর্তন হয়েছে। তাই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে কারা আসবেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়ে গিয়েছে। ভারতের সুরক্ষাসংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্য হন এই সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা। তবে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রথমবার নির্বাচনে নেমে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাই তিনি এবার মন্ত্রী হচ্ছেন। তাকে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ দেওয়া হতে পারে বলেও কানাঘুষা চলছে। এটা না হলে তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে পীযূষ গোয়েলকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনাথ সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বেই সম্ভবত থেকে যাচ্ছেন। তেমনি তার সহকারী হিসেবে থেকে যাবেন কিরণ রিজেজু। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার কত জনকে মন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে জোর কৌতূহল তৈরি হয়েছে। গতবার ২টি আসনে জয়ী বাবুল সুপ্রিয় এবং এস এস আলুওয়ালিয়া মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতো বিজয়ী মন্ত্রিত্বের দাবিদার হতে পারেন। মন্ত্রী বাড়তে পারে আসাম থেকেও। তবে কোন রাজ্য থেকে কতজনকে মন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলবে আগামী কয়েক দিনে।

এদিকে সর্বশেষ খবরে বিজেপি একাই ৩০৩টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে তামিলনাড়ুর একটি বাদে সবকটি আসনে এবার নির্বাচন হয়েছে। সরকার গঠনের জন্য কোনো দল বা জোটকে পেতে হবে ২৭২টি আসন। গতবার বিজেপি ২৮২ আসনে জয়লাভ করেছিল। আর তাদের জোট এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬টি আসন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads