• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি রাহুলকে

ছবি : সংগৃহীত

ভারত

কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি রাহুলকে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৫ আগস্ট ২০১৯

কংগ্রেস নেতা ও দলটির সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীরে ঢুকতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল শনিবার রাহুল ১১ জন বিরোধী নেতাকে নিয়ে অবরুদ্ধ কাশ্মীরের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেলে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। খবর বিবিসি, ডন, এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।

খবরে বলা হয়, উপত্যকায় উত্তেজনা ছড়াবে এমন দাবি করে বিমানবন্দর থেকেই রাহুলসহ অন্য নেতাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে এর আগেই হুঁশিয়ার করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাহুল গতকাল বিকালে কাশ্মীরের শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে দিল্লি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তার সফরসঙ্গী ছিলেন কংগ্রেসের অন্যতম নেতা গুলাম নবী আজাদ এবং আনন্দ শর্মা। এ ছাড়াও সিপিআইএমের সীতারাম ইয়েচুরী, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ডিএমকের তিরুচি শিবা, আরজেডির মনোজ ঝাঁ, এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী। কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাহুল তার দল নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর রওনা দেওয়ার ঘোষণা দেন।

কাশ্মীরের শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছলে দলসহ রাহুল গান্ধীকে কোথাও যেতে না দিয়ে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়। এর আগেও গোলাম নবী আজাদ দুইবার কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তিনি এ চেষ্টা করেছিলেন।

জম্মু-কাশ্মীরের তথ্য এবং জনসংযোগ অধিদপ্তর এক টুইটে জানায়, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ও হামলা থেকে যখন সরকার জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকে রক্ষায় চেষ্টা করছে, তখন রাজনৈতিক নেতারা সেখানে সফরে গেলে অন্যান্য লোকজন অসুবিধায় পড়বেন। কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর রাহুল বলেছিলেন, তিনি সেখানে সংঘর্ষ এবং বহু মানুষের মৃত্যুর খবর পাচ্ছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিক তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

গভর্নরের আমন্ত্রণ পাওয়ার দুদিন পর রাহুল তা গ্রহণ করেন। কিন্তু ততক্ষণে গভর্নর তার মতো বদলে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেন এবং রাহুলের ভ্রমণের ওপর কিছু শর্তারোপ করে বিবৃতি দেন। মালিক তার বিবৃতিতে বলেন, রাহুল গান্ধী তার সঙ্গে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের আনতে চেয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন-যা এখানে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়তে পারেন।

যদিও শনিবার সকালে গোলাম নবী আজাদ বলেন, আমরা সব দায়িত্বশীল দল ও তাদের নেতারা কোনো আইন ভাঙতে যাচ্ছি না। জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। ২০ দিন ধরে সেখানে অচলাবস্থা চলছে। সরকার বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে তারা কোনো রাজনৈতিক নেতাকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না কেন?

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে একটি বিলও পাস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ স্থানীয় কয়েকশ নেতাকর্মীকে। মিডিয়া কার্যত অকার্যকর হয়ে রয়েছে। মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হলেও সরকার তা স্বীকার করছে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads