• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
এনআরসিতে নেই বাংলাভাষী হিন্দুরা বিজেপিতে উদ্বেগ

সংগৃহীত ছবি

ভারত

এনআরসিতে নেই বাংলাভাষী হিন্দুরা বিজেপিতে উদ্বেগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ আগস্ট ২০১৯

ভারতের আসামের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি থেকে বিপুলসংখ্যক বাংলাভাষী হিন্দুর নাম বাদ পড়েছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজেপি। আসামে বাংলাভাষী হিন্দুরা শতকরা ১৮ শতাংশ। তারা হিন্দু ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। তাদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন বিজেপিকে সমর্থন করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামের নাগরিকপঞ্জির খসড়া তালিকায় একের পর এক বাংলাভাষী হিন্দুর নাম না থাকায় উদ্বিগ্ন ভারতীয় জনতা পার্টি। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন গুয়াহাটির ৫২ বছরের উমাকান্ত ভৌমিক। তিনি বাংলাভাষী একজন হিন্দু এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির আমল থেকেই বিজেপির সমর্থক। উমাকান্ত ভৌমিক আক্ষেপ করে বলেন, একবার নয়। সাত-সাতবারের জন্য আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পুনরায় যাচাইয়ের জন্য এনআরসি শুনানিতে গিয়েছি। কিন্তু এখন আর আমাদের খুব বেশি আশা নেই। আমি একেবারে শুরু থেকেই বিজেপির সমর্থক। আমরা বাংলাভাষী হিন্দুরাই আসামে বিজেপির প্রথম সমর্থক ছিলাম। আমরাই আসামে বিজেপির ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছি অথচ এখন যখন আমাদের এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, অথচ সরকার আমাদের সহায়তা করছে না। এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ১৯৫১ সালে আসামে প্রথম প্রকাশিত নাগরিক তালিকা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে পরিবর্তিত হচ্ছে। আসামে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ওই রাজ্যে প্রবেশ করেছে তাদের তালিকা থেকে পৃথক করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে এনআরসি আপডেট করা হচ্ছে। এ তালিকা থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ মানুষকে বাদ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের নাম ওঠেনি ওই তালিকায়। এর বেশিরভাগই বাংলাভাষী মুসলিম। ভারত সরকার তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেছে।

প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে আসামের ১৪টির মধ্যে ৯টি আসন জিতেছে বিজেপি। আদিবাসী, অসমিয়া হিন্দু এবং বাংলাভাষী হিন্দুদের ভোট একত্র হয়েই এখানে ভালো ফল করতে পেরেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে আসাম বাঙালি ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা খসড়ায় যা লক্ষ্য করেছি তা হচ্ছে বাংলাভাষী হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং এর নেপথ্যে সরকারের তরফ থেকে অনেকগুলো ভুল রয়েছে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads