• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ভারত

পাকিস্তান-ভারত গোলাগুলি, নিহত ১৬

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা থামছেই না। গতকাল রোববার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্তরেখায় দুই দেশের গোলাগুলিতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের ডন পত্রিকা।

এতে বলা হয়, গতকাল সকালে আজাদ কাশ্মীরের সীমান্তরেখায় গোলাগুলিতে ভারতের ৯ সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ভারতের আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতের দুটি বাংকার ধ্বংস হয়েছে। চলতি বছরে সীমান্তরেখায় এটিই সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক টুইটে জানায়, গোলাগুলিতে তাদের এক সেনাসদস্য ও ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সীমান্তের জুরা, শাহকোট এবং নওসেরি সেক্টরে বিনা উসকানিতে ভারতের যুদ্ধবিরতি লংঘনের জবাব দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

তবে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা সীমান্তে অস্ত্রবিরতি লংঘন করে পাকিস্তানি বাহিনী গুলি চালালে ভারতের দুই সেনাসদস্য ও এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এরপরেই পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ভেতরে সন্ত্রাসীদের অন্তত চারটি আস্তানা ও ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে চার থেকে পাঁচজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই বলছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নিলাম ঘাট উপত্যকায় সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ও চৌকিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এতে পাকিস্তানের চার থেকে পাঁচ সেনাসদস্য ও জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার অনেক সদস্য হতাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়। তারপর থেকেই সীমান্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে দুই দেশের সেনাবাহিনী। একে-অপরের বিরুদ্ধে বারবার যুদ্ধবিরতি লংঘনের অভিযোগ তুলে যাচ্ছে। সংঘর্ষে দুই দেশের সেনাবাহিনী ছাড়াও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের মাঝে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads