• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
ভারতে বিক্ষোভ সামলাতে ‘গুরু’র শরণাপন্ন মোদী

সংগ‍ৃহীত ছবি

ভারত

ভারতে বিক্ষোভ সামলাতে ‘গুরু’র শরণাপন্ন মোদী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

নতুন নাগরিকত্ব আইনের পেছনে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নেই, বিক্ষোভকারীদের তা বোঝাতে সদ্‌গুরুর শরণাপন্ন হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খবর আনন্দবাজারের।

আজ মঙ্গলবার ‘আধ্যাত্মিক গুরু’ সদ্‌গুরু জগ্গী বাসুদেবের একটি ভিডিও টুইট করেছেন মোদী। লিখেছেন, ‘সদ্‌গুরু সিএএ পানির মতো ব্যাখ্যা করেছেন, তা শুনে দেখুন।’

‍কিন্তু এই ভিডিও পোস্টের পর বিরোধীদের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে কতটা মরিয়া, তা বোঝা যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা সমালোচনা করছিলেন বলে নোট বাতিলের গুণাগুণ ব্যাখ্যা করতে তিনি বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নামিয়েছিলেন। এ বার তারাও নারাজ। আবার তিনি নিজেও আইন বোঝাতে পারছেন না। তাই আধ্যাত্মিক গুরুকে দিয়ে নতুন নাগরিকত্ব আইন বোঝাচ্ছেন।

অথচ প্রধানমন্ত্রীর প্রচারিত ভিডিওতে সদ্‌গুরু ২০ মিনিটের বেশি সিএএ-র গুণাগুণ ব্যাখ্যা করলেও প্রথমেই বলছেন, ‘আমি পুরো আইন পড়িনি। সংবাদপত্র পড়েছি, যা লেখালেখি হচ্ছে, সেগুলো পড়েছি।’

তবে সিএএ না পড়েই তিনি বলেছেন, ‘এই আইন সব দেশেই রয়েছে। এই আইনের প্রয়োজনে আছে।’ 

নিজে না পড়লেও ছাত্রছাত্রীদের আইন না পড়েই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য তিরস্কার করতেও ছাড়েননি সদ্‌গুরু জগ্গী বাসুদেব। শিক্ষার্থীদের পাথরের খনির শ্রমিকের সঙ্গে তুলনা করে তার মন্তব্য, ‘সবাই বলছে, পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো পাথরের খনির শ্রমিকের মতো আচরণ করছে। সবাইকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে।’

তার দাবি, এতটা প্রতিক্রিয়া হবে বলে সরকারের ধারণা ছিল না, তাই বেশি পুলিশ নামায়নি। ফলে পুলিশই মার খেয়েছে। 

অন্যদিকে শুধু জগ্গী বাসুদেবের ভি়ডিও টুইট করাই নয়, নিজের একটি  টুইটার হ্যান্ডল থেকে ‘#ইন্ডিয়াসাপোর্টসিএএ’ দিয়ে সমর্থনের আবেদন জানিয়ে মোদী লিখেছেন, ‘এই আইন সমর্থন করুন, কারণ এটা অত্যাচারিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।’ 

এছাড়াও নমো অ্যাপ থেকে ‘#ইন্ডিয়াসাপোর্টসিএএ’ টুইটারে প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে। সিএএর পক্ষে প্রচারের জন্য সরকার নানারকম ভিডিও, গ্রাফিক তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads