• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ভারত

আল কায়দার হিট লিস্টে পশ্চিম বাংলার রাজনীতিকরা!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০২০

পশ্চিমবঙ্গে হামলার ছক কষছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দা। হিট লিস্টে রয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের নাম। হামলার জন্য রাজ্যে মজুত স্লিপার সেলগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে জেহাদি সংগঠনটি। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

সূত্রের খবর, গত ৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যে যুবকদের মগজ ধোলাই করছে আল কায়দা। ভারতে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করতে পশ্চিমবঙ্গে বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছে সংগঠনটি। করাচি ও পেশোয়ারে রিক্রুটমেন্ট সেন্টার খুলে অনলাইনে বাংলা থেকে সদস্য সংগ্রহে নেমেছে আল কায়দা। পাশাপাশি, রাজ্যে স্লিপার সেলগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিস্ফোরণ এবং নেতা ও মন্ত্রীদের ওপর হামলা করার নকশা তৈরি করছে আল কায়দা। এখন পর্যন্ত সদস্য সংগ্রহ অভিযানে জড়িত ১১ সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার হয়ে জেহাদের অভিযোগে সৈয়দ এম ইদ্রিস নামের এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে কর্ণাটক থেকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। পশ্চিমবঙ্গে জেহাদি গতিবিধি সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে নাম। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লস্করের হয়ে বাংলা থেকে যুবকদের দলে ভরতি করার কাজ করছিল বলে অভিযোগ ইদ্রিসের বিরুদ্ধে।

চলতি বছরের স্পেটম্বেরে দেশটির মুর্শিদাবাদ থেকে এনআইএ সন্দেহভাজন ছয় আল-কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। তাদের ঘাঁটি থেকে উদ্ধার হয়েছে আইডি, পিস্তল সহ বহু নথি। পশ্চিমবঙ্গে আল-কায়দা সংগঠন বিস্তারের পিছনে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

পুলিশের দাবি, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্যতম মাথা মহম্মদ সালাউদ্দিন ওরফে সালিহান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জেলা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন সময়ে আস্তানা গেড়েছিল। তার যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণও রয়েছে। উল্লেখ্য, মহম্মদ সালাউদ্দিন ২০১৬-তে বাংলাদেশে হোলি আর্টিসন কাফেতে জঙ্গি হামলার দায়ে মৃত্যুদ্লের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়াও এ পারে ২০১৪ সালে বর্ধমানে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ও ২০১৮ সালে বোধগয়া বিস্ফোরণে ঘটনায় সালাউদ্দিন জড়িত ছিল বলে অভিযোগ।

বর্ধমান বিস্ফোরণের পর পরই এনআইএ, কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ও রাজ্য গোয়েন্দা বাহিনী যৌথভাবে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করেছিল। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গত কয়েক বছরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যা এই অঞ্চলে ওই সংঘটনের প্রতিপত্তি বিস্তারের আভাস বলেই মনে করা হয়।

ভারতে নিষিদ্ধ জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বর্তমানে জেলে। তাই পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপ বিস্তারে আপাতত পরিযায়ী বাঙালি শ্রমিকদেরই হাতিয়ার করেছে ওই নিষিদ্ধ সংগঠন। কেরালা বা অন্যা জায়গায় কর্মরত কম বয়সী শ্রমিকদের ব্রেন ওয়াশ করে, টাকার লোভ দেখিয়ে এই কাজে আনা হচ্ছে। জেলে থেকেও জেএমবি জঙ্গিরা আদর্শ ছড়িয়ে এদের দিয়ে শূন্যস্থান ভারনোর কাজ চালচ্ছে বলে মনে করছে এনআইএ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads