• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

আইপিএল

ফের সাকিব-মোস্তাফিজ লড়াই!

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০১৮

মুম্বাই-হায়দরাবাদ লড়াই মানে বাংলাদেশের দুই তারকার লড়াই। প্রথম লড়াইয়ে ম্যাচের শেষ বলে মোস্তাফিজের মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে হারায় সাকিবের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ফিরতি লেগে আজ রাতে মুখোমুখি হবে দুই দল। একই সঙ্গে মুখোমুখি হবেন দুই তারকাও। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। কিন্তু বাংলাদেশি সমর্থকদের মনে উঁকি দিচ্ছে ছোট্ট একটি প্রশ্ন। প্রতিশোধের ম্যাচে হায়দরাবাদের একাদশে সাকিব থাকলেও মুম্বাইয়ের একাদশে মোস্তাফিজ থাকবেন তো?

এর একমাত্র কারণ পারফরম্যান্স। প্রথম তিন ম্যাচে দল হারলেও বাংলাদেশের কাটার মাস্টার ছিলেন সপ্রতিভ উজ্জ্বল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে পরের দুই ম্যাচে। চতুর্থ ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ৫৫ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। আর পঞ্চম ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৫ রানে এক উইকেট পান। মোস্তাফিজের মতো চাপে ভেঙে পড়ছে মুম্বাইয়ের বোলিং লাইনআপ। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে শেষ ওভারে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজছে মুম্বাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট।

এবারের নিলামে ২ কোটি ২০ হাজার রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নেয় মুম্বাই। এবারের মৌসুমে দলটির হয়ে এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতে খেলেছেন তিনি। শিকার করেছেন ৫ উইকেট। সেরা বোলিং ২৪ রানে ৩ উইকেট। সাকিবদের বিপক্ষে প্রতিশোধের ম্যাচে নিজের ছন্দ ফিরে পেতে চান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ।

আর এই পারফরম্যান্স দিয়েই হায়দরাবাদের একাদশে থাকছেন সাকিব আল হাসান। অন্যবারের মতো এ আসরেও ব্যাট-বল দুই বিভাগেই জ্বলে উঠেছেন তিনি। এবারের মৌসুমে এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতে সাকিবকে একাদশে রেখে মাঠে নামে ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ ম্যাচে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। চার ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমে করেছেন ৮৭ রান।

প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ হয়নি। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেছেন সাকিব। গত ১৪ এপ্রিল ইডেন গার্ডেনে কলকাতার বিপক্ষে তার ২৭ রান হায়দরাবাদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। চতুর্থ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিপক্ষে সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, ততক্ষণে জয়ের আশা শেষ হায়দরাবাদের। কঠিন সমীকরণ মেলানো প্রায় অসম্ভব বলে নেট রানরেট ঠিক রাখার চেষ্টা করেন দুই ব্যাটসম্যান সাকিব ও মনিশ পান্ডে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ২১ বলে ৪৫ রান। ১ চার ও ২ ছয়ে ১২ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের স্ট্রাইকরেট ২০০। ফলে ক্রিস গেইলকে পেছনে ফেলে ম্যাচের ‘সুপার স্ট্রাইকার অব দ্য ম্যাচ’-এর পুরস্কার জেতেন সাকিব।

আর পঞ্চম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে বল হাতে কোনো উইকেট পাননি সাকিব। কিন্তু ব্যাট হাতে শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। দলীয় ২২ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর মাঠে নামেন সাকিব। দুই বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে ১৯ বলে ২৪ রান করে আউট হন তিনি।

অন্যরকম ডাবল অর্জনের অপেক্ষায় আছেন তিনি। চার হাজার রান আগেই করেছিলেন সাকিব। আর একটি উইকেট পেলে ছুঁবেন টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক। ফলে ছোঁয়া হবে ডোয়াইন ব্রাভোর পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০ উইকেট ও চার হাজার রানের ডাবল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads