• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু

ছবি : সংরক্ষিত ছবি

শিল্প

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ জুন ২০১৮

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের শিল্পায়ন ও সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি অঙ্গীকারনামা হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সংশ্লিষ্ট সকলে নির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। এর মাধ্যমে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি হবে এবং আগামী এক বছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে আশাতীত সাফল্য আসবে।

গতকাল বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন।

শিল্প সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক শিল্প সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী ও সাবেক রেল সচিব মনসুর আলী সিকদারসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব করপোরেশন ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শিল্পমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শিল্প সচিবের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিসিক, বিএসটিআই, বিসিআইসি, বিএসইসি, বিএসএফআইসি, বিআইএম, ডিপিডিটি, বিটাক, এনপিও, বিএবি, প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রধানরা পৃথকভাবে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মানুষের জীবন রক্ষা ও মানবসেবামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো জড়িত। বিসিআইসি যেমন সার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে, তেমনি বিএসটিআই নির্মাণসামগ্রী ও খাদ্যপণ্যের গুণগতমান রক্ষা করে মানুষের জীবনের সুরক্ষা দিচ্ছে। তিনি বিএসটিআইয়ের মান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জরিমানা আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মানুষের সুরক্ষা ও মানবসেবার দিকগুলোর প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে দ্রুত ও জবাবদিহিমূলক সেবা দিতে কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে শিল্প সচিবের তত্ত্বাবধানে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানকে ই-নথির আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে ‘লাল ফিতার দৌরাত্ম্য’ এর নামে অতীতে সেবাদানের ক্ষেত্রে যে ধরনের দীর্ঘসূত্রিতা ও হয়রানি ছিল, এখন তার কোনো প্রভাব নেই।

এতে আরো জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এ-টু-আই প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি ১ থেকে ১৫ জুন মেয়াদে দেশের ২০৩টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দফতরের মধ্যে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় শীর্ষস্থানে অবস্থান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অরগানাইজেশন (এনপিও)। এর পাশাপাশি শিল্প মন্ত্রণালয় ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ধারাবাহিক মনিটরিংয়ের ও মানসিক প্রণোদনার ফলে মন্ত্রণালয়ের ই-নথি ব্যবস্থাপনায় এ সাফল্য এসেছে। এর ফলে মন্ত্রণালয়ের সেবাদান প্রক্রিয়া গতিশীল হয়েছে এবং কাজের পরিমাণ বেড়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads