• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
লক্ষ্য ২০২৭ সাল : ১০ লাখ মোটরসাইকেল, ১৫ লাখ কর্মসংস্থান

‘মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা, ২০১৮ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে সরকার

ছবি : সংগৃহীত

শিল্প

নীতিমালার খসড়া অনুমোদন

লক্ষ্য ২০২৭ সাল : ১০ লাখ মোটরসাইকেল, ১৫ লাখ কর্মসংস্থান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দেশেই বিশ্বমানের মোটরসাইকেল তৈরি করে ২০২৭ সালের মধ্যে এ খাতে ১৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য ঠিক করে একটি নীতিমালায় অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার তার কার্যালয়ে ‘মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা, ২০১৮’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভাশেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘দেশীয় মোটরসাইকেল শিল্পের প্রসার ঘটাতে এই নীতিমালা করা হয়েছে, যেন মোটরসাইকেল আমদানি করতে না হয়।’

মোটরসাইকেল খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে ১৫ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান সচিব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান মোটরসাইকেল সংযোজন শিল্পের পরিবর্তে বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদন কারখানা সৃষ্টির জন্য উৎসাহিত করা হবে। উদ্দেশ্য হচ্ছে এই খাতে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

`নীতিমালায় মোটরসাইকেল খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে তা ১৫ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।'

যানজট ও চলাচলের সুবিধার কারণে বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। এর মধ্যে সরকার রাইড শেয়ারিং নীতিমালা অনুমোদন করার পর মোটার সাইকেলের বিক্রি বাড়ছে হু হু করে।

বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের বাজারের আকার কেমন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে আমদানিকারক ও পরিবেশকদের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিদিন হাজারের বেশি মোটর সাইকেল বিক্রি হচ্ছে, যা পাঁচ বছর আগেও এর অর্ধেক ছিল।

বর্তমানে দেশে প্রতি ১১৬ জনে একজন মোটরসাইকেল ব্যবহার করায় এই সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়ানোর সম্ভাব বলে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ লাখ এবং ২০২৭ সালের মধ্যে ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে নীতিমালায়। দেশে মোটর সাইকেল তৈরির পর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সেগুলো সরবরাহ করা হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads