• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সিরামিক রফতানিতে আয় বেড়েছে ১২৭ শতাংশ

সংগৃহীত ছবি

শিল্প

সিরামিক রফতানিতে আয় বেড়েছে ১২৭ শতাংশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ মার্চ ২০১৯

বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য ক্রমেই দখল করছে বিশ্ববাজার। ইউরোপসহ বিশ্বের শীর্ষ ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ঝুঁকছে বাংলাদেশের বাজারে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৫ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলারের সিরামিক পণ্য রফতানি হয়েছে যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২৭ শতাংশ বেশি।

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রফতানির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। অথচ এই সময়ে ৫ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি রফতানি হয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যাণ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সিরামিক পণ্য রফতানির উচ্চ প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সাধারণ সম্পাদক ও ফার সিরামিকস্ লিমিটেডের পরিচালক ইরফান উদ্দিন বলেন, বিশ্ববাজারে সিরামিকের শীর্ষ বাজার দখলকারী দেশ হচ্ছে চীন। বিশেষ করে ইউরোপের বাজারে তাদের একচেটিয়া প্রভাব। কিন্তু তাদের সে জায়গা আমরা দখল করে নিচ্ছি। কারণ চীন আগে ইউরোপের বাজারে ১২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে সিরামিক পণ্য রফতানি করত। কিন্ত চীনের পণ্যের জন্য শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন তাদেরকে বেশি শুল্কে পণ্য রফতানি করতে হচ্ছে। এতে চীনের সিরামিক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে আগের চেয়ে অনেক। এ কারণে ইউরোপীয় ক্রেতারা কম দামে সিরামিক পণ্য কিনতে বাংলাদেশের বাজারে ঝুঁকছেন।কেননা বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে সিরামিক পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। তিনি মনে করেন, এসব কারণে বাংলাদেশের সিরামিক শিল্পের সামনে বিরাট সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

চলতি অর্থবছরে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইরফান উদ্দিন বলেন, ৮ মাসেই আমরা লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি চলে গেছি। চলতি বছর রফতানি আয় ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সিরামিক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, বিদেশ থেকে নিয়মিত কার্যাদেশ পাওয়ায় সিরামিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন কাজ চলছে পুরোদমে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এক বছরের কার্যাদেশ পেয়েছে। ফলে নতুন নতুন অনেক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করছে এ শিল্পে। আর পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ইউনিটের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এভাবে দেশের সিরামিক শিল্প দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। আগামীতে দেশের শীর্ষ তিন রফতানি খাতের মধ্যে সিরামিক শিল্প জায়গা করে নেবে বলে তারা আশা করছেন।

সিরামিক শিল্পের আধুনিক পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাটির জার, কলস, ফুলের টব, মটকা, টাইলস, টেবিলওয়্যার,স্যানিটারি ওয়্যার, গার্ডেন পট, ভেজ, কিচেন ওয়্যার, বাথরুম প্রোডাক্ট, ডিনার সেট, টি সেট, কফি মগ, ক্লে জুয়েলারি (মাটির অলঙ্কার) ইত্যাদি। দেশে বর্তমানে বড় আকারে ২০টি সিরামিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বর্তমানে ৫০টিরও বেশি দেশে সিরামিক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। যার মধ্যে আমেরিকা, চীন, জাপান, পোল্যান্ড, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া, তুরস্ক, রাশিয়া, স্পেন, নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads