• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ডিমের বাজার ১২ হাজার কোটি টাকার

ফাইল ছবি

শিল্প

ডিমের বাজার ১২ হাজার কোটি টাকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৯

চলতি বছরেই ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে বাংলাদেশ—এমটা জানানো হয়েছে গতকাল শুক্রবার ডিম দিবসের আলোচনা সভায়। সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেক মানুষের বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া দরকার। এ চাহিদার বিপরীতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথাপিছু ডিমের পরিমাণ ১০৫টিতে উন্নীত হবে।

গতকাল বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বলে প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি বলেন, এখন ডিমের মাথাপিছু ভোগ ১০৩টি। এ বছর লক্ষ্য অবধারিতভাবেই পূর্ণ হতে চলেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথাপিছু ডিম খাওয়ার পরিমাণ ১০৫টিতে উন্নীত হবে। তিনি বলেন, এ অর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। এ সাফল্যের অন্যতম অংশীদার এ দেশের খামারিরা। তবে পণ্যের দাম না পাওয়ার কারণে অনেক সময়ই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তৃণমূল খামারিরা। তাই তাদের ঝরেপড়া রোধ করতে পোল্ট্রি বীমা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিশুদের পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্কুলের টিফিনে সিদ্ধ ডিম দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে সরকার।

এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ১ হাজার ৯৯ দশমিক ৫২ কোটি, যা পরের বছরগুলোতে যথাক্রমে (২০১৫-১৬ অর্থবছর) ১ হাজার ১৯১ দশমিক ২৪ কোটি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ দশমিক ১৬ কোটি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৫৫১ দশমিক ৬৬ কোটি এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৭১০ দশমিক ৯৭ কোটিতে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার ৭৮১ কোটি ডিম উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ নাগাদ প্রায় ১২ হাজার ৪৬৭ কোটি কিংবা তারও অধিক টাকার আর্থিক লেনদেন হবে ডিম থেকে।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পোল্ট্রি সায়েন্সের অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসেন। প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, ডিম একটি পরিপূর্ণ খাদ্য। ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এমন আদর্শ খাবার পৃথিবীতে খুব কমই আছে। ডিম হার্টের জন্য উপকারী। ইউএসডিএর সম্প্রতি গবেষণামতে, ১০ বছর আগের ফার্মের ডিমের চেয়ে বর্তমান সময়ের ডিম প্রায় ১৪ শতাংশ কোলেস্টেরল কম এবং ৩৪ শতাংশ বেশি ভিটামিন রয়েছে।

তারা জানান, সপ্তাহে ৪টি করে ডিম খেলে টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৩৭ শতাংশ কমে যায়। সপ্তাহে ৬টি ডিম খেলে স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা ৪০ শতাংশ হ্রাস পায়। শর্করা কমিয়ে প্রতিদিন ডিম খেলে মাসে ৩ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। মাত্র ২টি ডিম নারীর দৈনিক প্রোটিন চাহিদার ১-৪ ভাগ পূরণ করতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads