• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

গোলটেবিল বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

তথ্যপ্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু-২ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে : মোস্তাফা জব্বার

  • এম রেজাউল করিম
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০১৮

বঙ্গবন্ধু-২ কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে বলে মনে করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাই : সম্ভাবনার মহাকাশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের পর বুধবার বাংলাদেশের খবরের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করব, কিন্তু যেকোনো সময় তার গোলযোগ ঘটতে পারে। নির্বিঘ্নে নিরবচ্ছিন্নভাবে উপগ্রহের সেবা উপভোগ করার জন্য আরো একটি বিকল্প উপগ্রহ নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের আগেই আরেকটি স্যাটেলাইটের সঙ্গে আমরা বিকল্প আয়োজন করছি। ফলে আমাদের বিকল্প কিছু একটা তৈরি হচ্ছে। তাই এখন আমাদের ভাবতেই হবে বঙ্গবন্ধু-২ কবে আসবে।

তবে বঙ্গবন্ধু-২ নিয়ে এখনো কোনো ধরনের কাজ শুরু হয়নি বলে জানান মন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরেই এর কাজ শুরু করা যাবে। অন্যদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বঙ্গবন্ধু-২ অপরিহার্য ভাবনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে গোলটেবিল বৈঠকের সময় প্রথম স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের তারিখ আবার পেছানোর কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। এর জন্য বৈরী আবহাওয়াকেই দায়ী করেন তিনি।

বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হওয়ার পর তা জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হবে। এজন্য বিভাগীয় শহর এবং জেলা শহরগুলোতে নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

ইন্টারনেটের দামের বৈষম্য নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মোস্তবা জব্বার বলেন, ঢাকার মানুষ এক দামে পাবে, আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বেশি দামে ইন্টারনেট কিনবে তা আর হবে না। সারা দেশে একই দামে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে আমাদের যা যা করণীয় আছে তা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৭১২টি উপজেলাতে ফাইবার অপটিকস দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে যেসব এলাকায় ফাইবার অপটিকস পৌঁছানো সম্ভব নয় সেখানে স্যাটেলাইট থেকে কানেক্টিভিটি দেওয়া হবে। এতে যদি খরচ বেশিও হয়, তাহলে তা সরকারকেই বহন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরির পুরো কর্মযজ্ঞটি চলছে বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে। স্যাটেলাইটের মূল কাঠামো তৈরি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি- এই তিনটি ধাপে নির্মাণকাজ শেষ করেছে বিটিআরসি। কয়েক দফায় তারিখ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানো হবে। স্যাটেলাইট ওড়ানোর কাজটি বিদেশে হলেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশ থেকেই। এজন্য গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন তৈরি হয়েছে।

বিটিআরসির সূত্র মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। আর ঋণ হিসেবে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি দিচ্ছে বাকি ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads