• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বাংলাদেশে আসছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস জিলিঙ্গো

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশে আসছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস জিলিঙ্গো

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৭ এপ্রিল ২০১৯

বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক লাইফস্টাইল মার্কেটপ্লেস জিলিঙ্গো। সম্প্রতি সিরিজ ডি ফাইন্যান্সিং বা ডিজিটাল ফাইনান্সিংয়ের মাধ্যমে ২২৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগসহ মোট ৩০৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিতের পর এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসটি। বিটুবি ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিদ্যমান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও নতুন বিনিয়োগকারীদের মাঝে রয়েছে সিকোয়া ক্যাপিটাল, তামাসেক, বার্দা প্রিন্সিপাল ইনভেস্টমেন্ট, সোফিয়ানা, সিঙ্গাপুর ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ইডিবিআই।

বিনিয়োগের এই অর্থ ব্যয় করা হবে সাপ্লাই চেইনের মান উন্নয়নে, পাশাপাশি বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনামের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায়।

এছাড়া ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগের অর্থ ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশে কার্যক্রম চালুর বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অঙ্কিতি বোস বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছি ও অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। আমরা দেখেছি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিশাল বাজার, যা আন্তর্জাতিক বাজারে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখে। বিশ্বে তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নেতৃস্থানীয় একটি দেশ। বাংলাদেশের এই গৌরবে নতুন মাত্রা যোগ করার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অঙ্কিতি বোস ও ধ্রুব কাপুরের হাত ধরে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল মার্কেটপ্লেস হিসেবে জিলিঙ্গোর যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। শুরু থেকেই তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি কাজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পান সেখানে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। যেখানে সব বড় ব্র্যান্ডগুলো একই সময় নিজেদের সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে প্রযুক্তিগত ও বিনিয়োগের অভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসায় লাভ তুলতে বা বৃদ্ধিতে ব্যর্থ হচ্ছে। বড় ব্র্যান্ডগুলো বিপুল পরিমাণে পণ্য কেনার মাধ্যমে যেমন দামের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছাড়টি আদায় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে, তেমনি ব্যবস্থাপনায় তাদের সক্ষমতার কারণে পুরো সাপ্লাইচেইন প্রক্রিয়াটিই দারুণভাবে সুফল বয়ে আনছে, এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে।

এই অবস্থার উত্তরণে জিলিঙ্গো তাদের ব্যবসার মূল জায়গাটি কেবল মার্কেটপ্লেস সেবায় সীমাবদ্ধ না রেখে এশিয়ার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সমন্বয় করার মাধ্যমে সোর্সিংয়ে সহায়তা দিতে শুরু করে।

অঙ্কিতি জানান, শুধু মার্চেন্টদেরই নয়, আমরা ক্ষুদ্রতম প্রস্তুতকারকদের সঙ্গেও কাজ করতে আগ্রহী। আইটেম প্রতি সর্বনিম্ন ২ হাজার ইউনিট উৎপাদনে সক্ষম যেকোনো প্রস্তুতকারক আমাদের অংশীদার হতে পারবে। এটি সবার জন্যেই লাভজনক বলে আমরা মনে করি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads