• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
আগস্টে ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়েছে ২০ লাখ

সংগৃহীত ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি

আগস্টে ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়েছে ২০ লাখ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চলতি বছরের জুলাই শেষে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ৬১ লাখ ৭৬ হাজার। ঠিক এক মাস পর (৩১ আগস্ট পর্যন্ত) এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজারে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে ২০ লাখ ৪০ হাজার। দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহারও বেড়েছে। বর্তমানে দেশে এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত জুনে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৯ হাজার এবং মে মাসে এর সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার। এদিকে এক মাসে ২০ লাখ গ্রাহক বাড়ার কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। তারা বলেন, গত এক মাসে বা কিছু সময় আগে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। গ্রোথ একই রয়েছে, যা গ্রাহক বেড়েছে তার সবই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য অনুযায়ী, মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীই বেড়েছে ২০ লাখ। যদিও পাওনা নিয়ে কয়েক মাস ধরে গ্রামীণফোন ও রবিকে চাপে রেখেছে বিটিআরসি। বকেয়া আদায়ে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়ার মতো ব্যবস্থার দিকেও হেঁটেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এসবের পরও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ব্যাপক সংখ্যা বৃদ্ধি অবাক করেছে

সংশ্লিষ্টদের। গত জুলাই মাসে গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দিয়েছিল বিটিআরসি। এখন তাদের তথ্যই বলছে, ব্যান্ডউইথ কমানোর পরও অপারেটরগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বরং নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছেন তাদের সঙ্গে।

জানা যায়, দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৪-এর মাধ্যমে দেশে ব্যান্ডউইথ আসছে ৪০০ জিবিপিএস। অন্যদিকে সেকেন্ড সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-ইউ-৫-এর মাধ্যমে আছে ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। অবশিষ্ট ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আসছে প্রতিবেশী ভারত থেকে আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) মাধ্যমে। দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ‘বিটিআরসি যখন বলেছে তখন ঠিক আছে। ওটা মোবাইল ইন্টারনেট হবে হয়তো। কারণ আমাদের ইন্টারনেটের (ব্রডব্যান্ড) কোনো গ্রোথ হয়নি। গ্রোথ আগের মতোই বলা যায়।’ তিনি বলেন, ‘আইএসপির মাধ্যমে বর্তমানে গ্রাহকরা ৯০০ জিবিপিএসের মতো ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছেন।

আর মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা ব্যবহার করছে ৫০০ জিবিপিএস।’ ইমদাদুল হক আরো বলেন, ‘আসলে আমরা বর্তমানে মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) ইস্যু নিয়ে ঝামেলার মধ্যে আছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আমরা ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারছি না। অন্যদিকে, আমাদের খরচ বেড়ে গেছে। ফলে আমরা ব্রডব্যান্ডের দাম কমাতে পারছি না। এ জন্য গ্রোথ হচ্ছে না।’

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads