• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
'শিক্ষার্থীদের বিনা বা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে'

ফাইল ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি

'শিক্ষার্থীদের বিনা বা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে'

  • প্রকাশিত ০৬ জুলাই ২০২০

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদান অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়া যায় কি না সে বিষয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সাথে আলোচনা চলছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, মোবাইল অপারেটর কোম্পানিসমূহ বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন।

আজ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে আমরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করছি। এদিকে, অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে ইন্টারনেটের ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদান অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়া যায় কিনা সে বিষয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সাথে আলোচনা চলছে।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপার সঞ্চালনায় এই অনলাইন সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

আলোচক হিসেবে আরো যুক্ত ছিলেন বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল এবং দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সংকটই আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হলে তাদেরকে তথ্য ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাই আমাদের হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রমে যেতে হতো। করোনা আমাদেরকে এক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমসহ অফিস-আদালতে বিভিন্ন মিটিং এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সীমাবদ্ধ থাকবে। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে নতুন এই বাস্তবতার সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠব। করোনা পরবর্তী সময়েও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়ের টিউশন ফি প্রদানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একেবারে টিউশন ফি না দিলে প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবে না। তাই দুই পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দিয়ে মানবিক হতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষার বিস্তার এবং মেধাবী জাতি তৈরিতে ইন্টারনেটকে ব্যয় নয়, এটিকে রাষ্ট্রের বড় বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads