কোরবানী পশু বেচাকেনায় কুমিল্লার খামারীরা পাবেন অনলাইন সুবিধা। করোনা প্রাদুর্ভাবে পশুর হাট বসা নিয়ে শঙ্কার মাঝে এ যেন খুশীর বার্তা। জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর যৌথভাবে কার্যক্রমটি তদারকি করছে। এরই মাঝে বেশ কিছু খামারী নিজ উদ্যোগে অনলাইনে তাদের পশু বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন। আবার কোন কোন খামারী ঘোষিত এ কার্যক্রমের অনলাইন নিবন্ধনের অপেক্ষায় রয়েছেন। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা খামারের পশুর ছবি, পশুর বর্ণনা ও খামারীর মোবাইল নাম্বার নির্দিষ্ট অ্যাপসসে লিপিবদ্ধ করে ক্রেতাদের মাঝে তুলে ধরবেন।
কুমিল্লার খামারগুলোতে কোরবানী পশু রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার। আর কোরবানীর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার। খামারীরা সারা বছর জুড়ে আশায় থাকেন কোরবানীতে তাদের পশু বিক্রি করার। আর ক্রেতারা থাকেন হাটে গিয়ে ঘুরে ঘুরে পছন্দ করে পশু কিনতে। কিন্তু চলতি বছর সে আশায় থাকাটা শংকায় পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। এ সময়ে হাটে বিক্রেতা ও ক্রেতার উপস্থিতি থাকবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। তাই হাট পুরোপুরি বসবে কিনা তাতে রয়েছে সন্দেহ। এ টানাপোড়নে জেলা প্রশাসন ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর পাশে দাঁড়িয়েছেন। । চালু করতে যাচ্ছেন কুমিল্লা অনলাইন পশুর হাট নামে একটি অ্যাপস । ১০ জুলাই অ্যাপসটি চালূ করা হয়েছে। এতে খুশী খামারী ও ক্রেতারা।
কুমিল্লা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম জানান, অ্যাপসে খামারীরা তাদের পশুর বিস্তারিত তুলে ধরবেন, ক্রেতা সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে দর কষাকষিতে ক্রয় করবেন। ঘরে বসেই ক্রেতারা পশু কিনতে পারবেন। এদিকে কুমিল্লায় চলতি বছর কোরবানীর চাহিদা অনুযায়ী পশু রয়েছে। তিনি আরো জানান, খামারী ও ক্রেতাদের স্বার্থ দেখতে অনলাইনে পশু বিক্রির উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে।
করোনাভাইসার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যপারটি নিঃসন্দেহে একটি সু-সংবাদ। এ সেবা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তারা পাশে থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা।
