• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
মঙ্গলে প্রাচীন তিন হ্রদের খোঁজ

প্রতীকী ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি

মঙ্গলে প্রাচীন তিন হ্রদের খোঁজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

মঙ্গলে নিবাস গাড়ার কথা ভাবা হচ্ছে অনেকদিন ধরে। গবেষকরা এ জন্য প্রাণান্তকর নানা চেষ্টাও করছেন। এবার গ্রহটির ভূপৃষ্ঠের নিচে প্রাচীন তিনটি হ্রদের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, গ্রহটিতে আগে ধারণা করা তরল পানির চেয়ে আরো বেশি পানি থাকতে পারে। শুষ্ক ও ধুলাময় গ্রহটির দক্ষিণের বরফচূড়ার নিচে জলাশয় লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনার কথাও বলছেন গবেষকরা।

ইতালির রোমা ট্রে ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নেতৃত্বে একটি নতুন গবেষণা ২০১৮ সালে মঙ্গলের মেরু বরফের নিচে একটি লুকানো হ্রদের অনুসন্ধানের বিষয়টিকে জোরালো সমর্থন করছে। এ ছাড়া নতুন গবেষণায় আরো তিনটি নতুন জলাশয় থাকার কথা বলা হচ্ছে। গবেষকরা এ ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মার্স এক্সপ্রেস অরবিটারের রাডারের তথ্য ব্যবহার করেছেন।

গত সোমবার ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন গবেষণায় অধিক তথ্য বিবেচনায় নিয়ে এবং ভিন্ন উপায়ে তা বিশ্লেষণ করে নতুন তিনটি জলাশয় আবিষ্কার করা হয়েছে। এদিন গবেষণা-সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ সাময়িকীতে। এতে গবেষকরা বলছেন, হ্রদগুলো বরফের একটি বড় স্তরের নিচে লুকিয়ে রয়েছে বলে ধারণা তাদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হ্রদটি ১৯ মাইল বিস্তৃত হতে পারে। এ ছাড়া আরো কয়েকটি হ্রদ এর চারপাশে থাকতে পারে। গবেষকেরা আশা করছেন, কম তাপমাত্রায় তরল থাকার জন্য পানি লোনা হবে। ২০১৯ সালের পৃথক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা পানি জমাট বাঁধতে দেয় না। তবে বর্তমান গবেষণায় পানিতে অতিরিক্ত লবণ থাকার বিষয়টিতে জোর দিয়েছে।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বলছে, ‘এখনকার মঙ্গলপৃষ্ঠে পানি টিকে থাকা সম্ভব নয়। তবে নতুন গবেষণার ফলাফল সে সম্ভাবনার কথা বলছে। ভূপৃষ্ঠের নিচে প্রাচীন হ্রদগুলো লাখো থেকে কোটি কোটি বছর টিকে থাকতে পারে।

গবেষকরা মঙ্গল গ্রহে দীর্ঘদিন ধরেই প্রাচীন ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার পাঠানো নতুন ‘প্রিজারভেন্স’ রোবট মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে এ সন্ধান চালিয়ে যাবে। সেখানে তরল পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেলে তা প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার আকর্ষণীয় জায়গা হতে পারে। তবে এসব স্থানে পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন হবে।

মঙ্গলের দক্ষিণ মেরু থেকে তাই এখনই বড় কোনো সুসংবাদ পাওয়া যাবে না। ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক অভিযানের লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে এই প্রাচীন জলাশয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads