• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : ইন্টারনেট

শ্রমশক্তি

বন্ড সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিতণ্ডা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০১৮

বন্ড সুবিধার মাধ্যমে শুল্ক সুবিধায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য আমদানি করে সেগুলো খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় উৎপাদনকারীরা। স্থানীয় উৎপাদনকারীদের সুরক্ষায় পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে দাবি জানান তারা। অপরদিকে আমদানিকারকরা অভিযোগ করে বলেন, আমদানিকারকরা ২৪০ টাকা শুল্ক দিয়ে যে পণ্য আমদানি করছেন বন্ড সুবিধায় তা ৬০ টাকায় আনা হচ্ছে। বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য খোলা বাজারে বিক্রির কারণে প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় তারা টিকে থাকতে পারছেন না।

আমদানিতে শুল্ক আরোপের দাবির প্রতিবাদে রফতানিকারকরা বলেন, আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আপনারা (স্থানীয় উৎপাদনকারীরা) উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটসহ অন্যান্য সুবিধা চাইতে পারেন কিন্তু অন্যের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করার কথা বলতে পারেন না।

গতকাল এনবিআর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় পরস্পরবিরোধী এমন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যাসোসিয়েশনের শেখ খালেক বলেন, আমরা দুর্বল অবস্থানে রয়েছি। থাইল্যান্ড ও চীন থেকে যে কাপড় আমদানি করা হচ্ছে সেগুলোর ওপর আরো শুল্ক আরোপ করা উচিত।

এনবিআর চেয়ারম্যান এ সময় বলেন, অনেকে বন্ড সুবিধায় পণ্য এনে খোলা বাজারে বিক্রি করছে, এতেও সমস্যা হচ্ছে। বন্ডের কাপড় খোলা বাজারে বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

এ সময় বিটিএমইএ’র প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে যেসব সীমান্ত হাট রয়েছে সেগুলোর কারণে অবাধে ভারতীয় কাপড় বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করছে। সীমান্তহাটগুলো এখন চোরাকারবারিদের মার্কেটে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি সীমান্ত হাট রয়েছে এবং প্রত্যেকটি হাট দিয়ে ৮৭ লাখ মিটার ভারতীয় কাপড় বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করছে। এতে নরসিংদী, পাবনা, সিরাজগঞ্জে আমাদের যেসব দেশীয় কাপড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে রয়েছে। সীমান্ত হাটগুলো মনিটরিংয়ের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সীমান্ত হাটগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

বন্ডের অপব্যবহার বন্ধের বিষয়ে বিজেএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বন্ডের অপব্যবহার যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরাও চাই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অপব্যবহারকারীদের আমরা কোনোভাবেই সমর্থন দিচ্ছি না। বন্ডের অপব্যবহার বন্ধে তিনি অনলাইনের মাধ্যমে নিরীক্ষা ব্যবস্থা চালুর জন্য এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানান।

বন্ডের অপব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, যদি কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে আমরা তার সদস্যপদ স্থগিত করে দেব। তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব হলে আমাদের বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার দরকার পড়ে না। বিজেএমইএ সভাপতি বলেন, একজন আরেক জনের দোষারোপ করব, এটা ঠিক না। শুধু নিজের স্বার্থ দেখলে হবে না। অন্যের স্বার্থের কথাও বিবেচনা করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads