• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

শ্রমশক্তি

জনশক্তি রফতানি কমার পরও বেড়েছে রেমিট্যান্স

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ নভেম্বর ২০১৮

জনশক্তি রফতানির হার কমলেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) জনশক্তি পাঠানো হয়েছে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ১২৮ জন, যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৬ হাজার ৯২৬ জন কম। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশে জনশক্তি পাঠানো হয়েছিল ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৪ জন।

অন্যদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার (রেমিট্যান্স) পরিমাণ ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের শ্রেণি থেকে উত্তরণের সব যোগ্যতা অর্জন করে এবং সামষ্টিক অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতিসহ প্রবৃদ্ধির গতিধারা অব্যাহত থাকে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয়, আমদানি-রফতানি, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ এবং রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ও পরিমাণ বেড়েছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় গত বছরের এক হাজার ৬০২ মার্কিন ডলার থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।’

২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট রফতানির পরিমাণ ৪১ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলার ও রফতানি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ বলেও জানান শফিউল আলম। তিনি বলেন, আগের অর্থবছরের চেয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০১৮ সালে কমে হয়েছে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ।’

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উনয়ন কর্মসূচিতে আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪০ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (ইপিজেড ও নন-ইপিজেড) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের চেয়ে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি লক্ষ্যমাত্রা ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে ২৪৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ অর্জিত হয়। অর্থ ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৩১১ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ৯৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ অর্জিত হয়।’

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আওতায় গ্রহণ করা সমাপ্তিযোগ্য ৩০০টি প্রকল্পের মধ্যে ২৭৩টি প্রকল্প শেষ হয় বলেও জানান শফিউল আলম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads