• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
পোশাক খাতের কুচক্রী নিয়ে দুশ্চিন্তায় সরকার

পোশাক খাতের কুচক্রী নিয়ে দুশ্চিন্তায় সরকার

ছবি : সংরক্ষিত

শ্রমশক্তি

পোশাক খাতের কুচক্রী নিয়ে দুশ্চিন্তায় সরকার

# কঠোর বার্তা প্রতিমন্ত্রীর # ঘোষিত বেতন মিলবে আশ্বাস বিজিএমইএ’র

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি কাঠামো। এর পর থেকে শ্রমিকরা সর্বনিম্ন আট হাজার টাকা বেতন পাবেন। তবে ন্যূনতম এ মজুরি নিয়ে এ খাতের শ্রমিকদের অসন্তোষ রয়েছে। তারা দেশের পোশাক শিল্পের সক্ষমতা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় না রেখে এ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার জন্য এখনো দাবি জানাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এসেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে পোশাক খাতের একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ন্যূনতম মজুরি নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টির মাধ্যমে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে গতকাল মন্তব্য করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। একই সঙ্গে তিনি এ মহলকে সরকার ‘অত্যন্ত শক্তভাবে’ দমন করবে বলে হুশিয়ারি দেন। গতকাল সচিবালয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির জরুরি সভার পর প্রতিমন্ত্রীর এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা ইদানীং লক্ষ করছি, যারা নির্বাচন চান না, তারা বিভিন্নভাবে নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন। আমাদের মনে হচ্ছে সবচেয়ে বড় গার্মেন্ট সেক্টরে অসন্তোষ সৃষ্টি করার জন্য কয়েকটি মহল চেষ্টা করছে। বিভিন্ন বাহানা করে অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নতুন মজুরি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ কারণে আমি মালিক ও শ্রমিকদের বলব ডিসেম্বর মাসের ইলেকশন ব্যাহত হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত আপনারা নেবেন না। যদি তা না করেন তবে সরকারের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স, আমরা শক্তভাবে ব্যবস্থা নেব।

প্রসঙ্গত, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি ছিল বিভিন্ন বাম শ্রমিক সংগঠনের। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় বিক্ষোভ, মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছিল সংগঠনগুলো।

ন্যূনতম মজুরি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেতন বৃদ্ধির হিসাব আমরা বিজিএমইএ, বিকেএমইএ’র মালিক ও শ্রমিক নেতাদের কাছে পৌঁছে দেব। যাতে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না হয়। শ্রমিকরা ডিসেম্বরের বেতন নতুন স্কেল অনুযায়ী পাবেন।

তবে এ সময় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেতন নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী সর্বনিম্ন বেতন আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। তারপরও কিছু ফ্যাক্টরির শ্রমিক কাজ করেননি, তাদের অভিযোগ বেতন কম বাড়ানো হয়েছে। আমাদের শ্রমিক ভাইদের যেন এভাবে বিভ্রান্ত হতে না হয়। তারা ২০১৩ সালের মতো হিসাব অনুযায়ী বর্ধিত বেতন পাবেন।

মালিকদের উদ্দেশে সিদ্দিকুর বলেন, কোনো শ্রমিককে যেন বেতন ছাড়া বাসায় যেতে না হয়। এবার ইলেকশন আছে, আমরা কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। সেটা শ্রমিক পক্ষ হোক আর মালিক পক্ষ হোক। আমরা তাদের আইনের আওতায় আনব।

অন্যদিকে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান বলেন, আমরা ডিসেম্বর মাসের বেতনটা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দেব। আমরা সেটা নিয়ে আজ বসেছি, বেতন দিতে যেন আমাদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব না হয় এ জন্য সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব আফরোজা খান, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ অন্যান্য নেতা, পোশাক শ্রমিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads