মজুরি কাঠামোর সাতটি গ্রেডের মধ্যে ৩, ৪ ও ৫ নম্বরে মূলত সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে পর্যালোচনা কমিটি। কমিটির প্রথম বৈঠকে মজুরি কাঠামোর এ সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে।
পর্যালোচনা কমিটির এ সভা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে শ্রম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিটির আহ্বায়ক আফরোজা খান। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সমস্যা শনাক্ত হয়েছে। তাই সমস্যা সমাধান করা যাবে। আগামী রোববার কমিটি আবার বৈঠকে বসবে। ওই বৈঠকে চিহ্নিত তিনটি গ্রেডের বিষয় সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তিনি আরো বলেন, কমিটিকে বিষয়টি সমাধানে এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ের আগেই বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে। মজুরি কাঠামোর কারণে যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে তা নয়, এর পেছনে অন্য ঘটনা রয়েছে যার একটি উদাহরণ উল্লেখ করে আফরোজা খান বলেন, মজুরি কাঠামোর চাইতে বেশি বেতন দেওয়া হলেও একটি কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। কারণ এ খাতকে ধ্বংস করার জন্য একটি চক্র পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। এ কারণে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু বেতনই নয়, শ্রমিকরা যেকোনো সমস্যায় পড়লে একটি হটলাইন নম্বর চালু করবে শ্রম অধিদফতর। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা সেই নম্বরে ফোন দিয়ে শ্রমিকরা তাদের সমস্যা জানাতে পারবেন। সমস্যা যাতে তাৎক্ষণিক সমাধান হয় তার ব্যবস্থাও থাকবে। নম্বরটি শিল্প অঞ্চলে মাইকিং করে জানানো হবে।
এ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম মুর্শেদী। গার্মেন্ট মালিক, শ্রমিক ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ বৈঠকে পর্যালোচনা কমিটির ১২ সদস্যের মধ্যে ১০ জন উপস্থিত ছিলেন।