• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
বন্ধ হতে বসেছে ছয় দশকের পুরনো জুটমিল

নরসিংদী জেলাধীন রায়পুরা উপজেলার গৌরীপুরস্থ  কোহিনূর জুট মিল

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

শ্রমশক্তি

বন্ধ হতে বসেছে ছয় দশকের পুরনো জুটমিল

  • রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ মার্চ ২০২০

বিদ্যুৎ সমস্যায় নিবে যেতে বসেছে নরসিংদী জেলাধীন রায়পুরা উপজেলার গৌরীপুরস্থ কোহিনূর জুটমিল। 


নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে স্বাধীনতার পূর্বে প্রতিষ্ঠিত প্রায়ছয় দশকের পুরনো এই মিলটি  তার ঐতিহ্য হারিয়েছে অনেক আগেই। যেটুকু অবশিষ্ট তাও নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় চরম খারাপ সময় পার করছে। গত বছর ছয় মাস মিলটি বন্ধও ছিল।  
  
নরসিংদীর রায়পুরায় গৌরিপুরায়  ঐতিহ্যবাহী  "কোহিনুর জুট মিল"১৯৬৪ সালে   তোফাজ্জল হোসেন  ৫৭ একর জমির  উপর  কোহিনুর জুট মিল  স্থাপন করেন। ১৯৬৫ সালে উৎপাদন শুরু করে ২৫০ তাঁতের মিল নিয়ে। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর জাতীয়করণ করা হয়। এরশাদ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যক্তি মালিকানাধীন হস্তান্তর করা হয় প্রতিষ্টানটি। বিশ্ব বাজার মন্দা হওয়ায় মিল চালানো দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।  একেতো কাঁচামালের দাম বেশি অন্য দিকে পাটের বস্তা, দড়ি ও পাটজাত পণ্যের বিক্রয় মূল্য কম হওয়ায় চরম বিপাকের  মধ্যে শ্রমিকের  বেতন দিতেই হিমশিম খাচ্ছে মালিক পক্ষ। কোহিনূর জুট মিলের প্রজেক্ট  ইনচার্জ মোঃ ফজলুর রহমান জানান, পাটের দাম বেশি। আগে  ১৪শ টাকা দরে যে পাট কেনা যেত এখন তা দাড়িয়েছে  ২৪শ টাকায়। অন্য দিকে পাটের বস্তার দাম কম হওয়ায় মালিক পক্ষ চরম বিপাকে পরে নিজ জমি বিক্রি করে  ভর্তুকি দিয়েও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় প্রতিনিয়ত। এ অবস্থায় মিলটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না । অন্য দিকে দৈনিক১০/১২ বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে

যার ফলে প্রতিনিয়ত উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং মিলটির মটরের ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভ্রান্তির ফলে পুর্বে যেখানে ১৮০০শ্রমিক ও ২০০স্টাফ নিয়ে কাজ করতো এখন তা  ৫০০শ্রমিক ও ৪৫ জন স্টাফ নিয়ে কাজ করছে।  নাম প্রকাশে অমিচ্ছুক এক শ্রমিক গত বছরের বোনাস এখনও বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ করেন । 

নরসিংদী ও রায়পুরায় বিদ্যুতের জোনাল অফিসে বার বার লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও অদ্যবদি পর্যন্ত কোন অগ্রগতি হয়নি বলে জানান মিল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে রায়পুরা জোনের (ডিজিএম) মোঃ সিদ্দিকুর রহমান   বলেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালনের  মুল লাইনে উন্নয়নের  কাজ চলার দরুন  বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। ১০-১৫ দিন পরে আর এই সমস্যা থাকবে না ইনশাআল্লাহ। এজন্য নিরলসভাবে তদারকি করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads