• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

আইন-আদালত

যশোর রোডে শতবর্ষী গাছ কাটার সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

যশোর রোডে শতবর্ষী গাছ কাটার সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই গাছ রক্ষায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পাশাপাশি আলাদা আরেক রুলে যশোর রোডের পাশে থাকা ওই গাছগুলো রেখে চার লেন রাস্তা তৈরিতে কেন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সচিব, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, পরিবেশ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, যশোর রোডের ঐতিহ্যবাহী গাছ কাটা নিয়ে দেশব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ চলছে। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু খবর পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছে। আজ ওইসব প্রতিবেদন আদালতের সামনে উপস্থাপন করে শুনানি শেষে আদালত স্থগিতাদেশ দেন এবং রুল জারি করেন।
এর আগে সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে মনজিল মোরসেদ রিটটি দায়ের করেন। পরে এ নিয়ে হাইকোর্ট শুনানি রুল জারিসহ গাছ কাটার ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

উল্লেখ্য, যশোর রোড প্রশস্ত করার জন্য এবং ভবিষ্যতে এই সড়ক চার লেন থেকে ছয় লেন করতে গত ৬ জানুয়ারি যশোরে এক মত বিনিময় সভায় স্থানীয় তিন সংসদ সদস্য এবং প্রকৌশলীরা সড়ক উন্নয়নে দু’পাশের সব গাছ কেটে ফেলা হবে বলে জানান। পরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়াত হোসেন জানান, জানুয়ারি মাসেই ঐতিহাসিক যশোর রোডের বাংলাদেশ অংশের গাছ কাটা শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, ১৮৪০ সালে যশোর রোডের নির্মাণ কাজ শুরু করেন যশোরের তখনকার জমিদার কালি পেদ্দার। ১৮৪৪ সালে সড়ক নির্মাণ শেষ হয়। এরপর তিনি রাস্তার দু’ধারে সারি সারি রেইনট্রি গাছ লাগান ছায়ার জন্য। বাংলাদেশ অংশে তার লাগানো প্রায় ১৮০ বছর বয়সী গাছ আছে আড়াইশ’র মতো। পরে আরও গাছ লাগানো হয। সব মিলিয়ে ৩৮ কি. মি. সড়কের দু’ধারে দুই হাজারেরও বেশি গাছ রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী যশোর রোডের দৈর্ঘ্য ১০৮ কি.মি.। যশোর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশে এর দৈর্ঘ্য ৩৮ কি.মি.। ভারতের পেট্রাপোল থেকে কোলকাতার দমদম পর্যন্ত ৭০ কি.মি.।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads