• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে রায় ১৫ মে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৮

জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন প্রশ্নে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ১৫ মে জানা যাবে।
হাই কোর্টের ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার শুনানি চলে তিন ঘণ্টা। শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায়ের এই দিন নির্ধারণ করেন। 

শুনানিতে খালেদা জিয়ার জামিনের সপক্ষে বক্তব্যে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতের কাছে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৩ বছর। আদালতের চোখ আছে, মন আছে, বিবেক আছে। পাবলিক পারসেপশন আছে। এই কোর্ট ছাড়া আমাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই।’

শুনানির প্রথম দিন মঙ্গলবার দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। খালেদা জিয়ার জামিনের বিপক্ষে সর্বোচ্চ আদালতের সামনে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন তারা। তাদের বক্তব্য শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।

বিদেশ থেকে জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদকের এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। রমনা থানায় দুদকের করা এই মামলার বিচার চলে এক দশক। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়ার পাশাপাশি তার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। 

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে এনে তা দেখে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।

দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে সর্বোচ্চ আদালত গত ১৪ মার্চ জামিন স্থগিত করে নিয়মিত আলিভ টু আপিল করতে বলে।

এরপর ১৯ মার্চ দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়ে ৮ মে শুনানির দিন ঠিক করে দেয় আপিল বিভাগ। ফলে খালেদার জামিন স্থগিতই থাকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads