• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বাদল ফরাজীর মুক্তি সরকারের সিদ্ধান্তে : হাইকোর্ট

বাদল ফরাজী

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

রিট খারিজ

বাদল ফরাজীর মুক্তি সরকারের সিদ্ধান্তে : হাইকোর্ট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ জুলাই ২০১৮

ভারতে বিনা দোষে হত্যামামলায় দণ্ডিত হয়ে ১০ বছর জেল খাটার পর দেশে ফেরা বাদল ফরাজীর মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে সরকারই পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

গতকাল বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেছেন, ‘সরকার বাদল ফরাজীর বিষয়ে ইতিবাচক। সরকারি পদক্ষেপেই ভারতের তিহার কারাগার থেকে তিনি দেশে ফিরেছেন। এখন সরকারই তার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। ফলে তার মুক্তির বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া সমীচীন হবে না। তাই আমরা রিটটি উত্থাপন হয়নি মর্মে খারিজ করছি।’

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। সরকার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী। আইনজীবী পল্লব বলেন, ‘মুক্তির জন্য বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাদল ফরাজী সাজা মওকুফের আবেদন করতে পারেন। অথবা ভারতীয় সংবিধানের ১৬১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাজা মওকুফের জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করতে পারেন। এ ছাড়া তার মুক্তিতে আর কোনো আইনগত পথ খোলা নেই।’

রিট আবেদনে বলা হয়, বাদল ‘ভুল বিচারের’ শিকার হয়ে ভারতে ১০ বছর কারাভোগ করেছেন। তিনি ‘নির্দোষ হওয়ার পরও’ দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়েছে, যা সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৬ ও ৪৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এই যুক্তি দেখিয়ে বাদলকে কারামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি আদালতের নির্দেশনা ও রুল চাওয়া হয় ওই আবেদনে।

গত ৬ জুলাই বাদলকে ভারতের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে দেশে ফেরত আনা হয়। বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে তাকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads