• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
নারী নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা

বিচারকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন এক নারী

প্রতীকী ছবি

আইন-আদালত

নারী নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলা

  • আদালত প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ জুলাই ২০১৮

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন এক নারী। গতকাল সোমবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সামসুন্নাহার বিষয়টি আমলে নিয়ে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্তটি হবে বিচার বিভাগীয়। আসামি বিচারকের নাম মো. জুয়েল রানা। তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ)। মামলার বাদী এক সময় তার আদালতে চলমান মামলার আসামি ছিলেন।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, আসামি জুয়েল রানা ঢাকার অতিরিক্ত জেলা জজ ছিলেন। এ সময় বাদী একটি পারিবারিক রিভিশন মামলার আসামি ছিলেন। জুয়েল রানার আদালতে মামলাটি বিচারাধীন ছিল। পরে আসামি নিজেই ঘন ঘন ফোন করে বাদীর ঘনিষ্ঠ হন। বাদীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে জুয়েল রানা তার নিজ আদালতে অস্থায়ী স্টেনোগ্রাফার পদে নিয়োগ দেন। নিজ খরচে বাদীকে আইন পড়াতে চান। জুয়েল রানা এরূপ আচরণের মাধ্যমে তার প্রতি বাদীর বিশ্বাস অর্জন করেন। ২০১৫ সালের ৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে জুয়েল রানা রাজধানীর বেইলী রোডের ১ নিউ বেইলী রিজ সি/৩ নম্বর নিজ ফ্ল্যাটে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাদীকে নিয়ে যান। স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফ্ল্যাটে নেওয়া হলেও ওই সময় তার স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। এই সুযোগে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে তিনি ধর্ষণ করেন। ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর ধর্ষিতার সঙ্গে আপস-মীমাংসার কথা বলে র্যাব দিয়ে তিনি ডাক্তারি পরীক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে যান। বাদীকে ২০টি ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে খিলক্ষেত থানায় মাদক মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান। পরে আদালতে মামলায় খালাস পান বাদী। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই বাদী আদালতে গেলে আসামির দায়েরকৃত রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করেন। এ মামলায় বাদী চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপরই তিনি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ঢাকা কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রায়হান মোর্শেদ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads