• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
'মামলা জট নিরসনে কার্যকর পন্থা উদ্ভাবন করতে হবে'

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

ছবি: সংরক্ষিত

আইন-আদালত

'মামলা জট নিরসনে কার্যকর পন্থা উদ্ভাবন করতে হবে'

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২৬ জুলাই ২০১৮

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কার্যকর পন্থা উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

দেশের আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ৩৩ লাখ ৯৬ হাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে এত বিপুল সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়। এ বিশাল মামলা-জট নিরসনে বিকল্প পদ্ধতিতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির কার্যকর পন্থা উদ্ভাবন করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)’র আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।

আনিসুল হক বলেন, মামলা-জট নিরসনের জন্য ‘আমাদের প্রথমে সঠিকভাবে মামলা ব্যবস্থাপনা করতে হবে, প্রচলিত মামলা ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন আনতে হবে।’

তিনি বলেন, দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসারে বিচারপূর্ব শুনানি ও প্রকৃত বিরোধ নির্ধারণ করা হলে, দেওয়ানি মামলা দ্রুততম সময়ে বিকল্প পদ্ধতিতে কিংবা সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে নিষ্পত্তির পথ সহজ হবে।

আইনমন্ত্রী বিচারকদের আইনের বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ এবং আইনজীবীগণকে এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করার ওপর গুরুত্ব দেন।

আনিসুল হক বলেন, বিকল্প পদ্ধতিতে মামলা নিস্পত্তির জন্য দক্ষ, বলিষ্ঠ ও কর্মনিষ্ঠ মিডিয়েটর শ্রেণী তৈরি করাও অপরিহার্য। এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলার জেলা জজগণকে দেওয়ানি কার্যবিধি অনুযায়ী মিডিয়েটরদের তালিকা হালনাগাদ করতে হবে।

তিনি বলেন, জাপানে মিডিয়েটরদের নিয়োগ ও নবায়নের বিষয়ে যে ধরণের নীতিমালা অনুসরণ করা হয় ‘আমাদেরও একই ধরণের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে’।

তালিকাভূক্ত মিডিয়েটর এবং বিচারকগণকে এ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন,জাপানের আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।’

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ, জাপানের চুকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কাজুতো ইনাবা, জাপানের বিচার মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিপ্রিজেন্টেটিভ হিরোইকি ইতো, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার শাহা ও উম্মে কুলসুম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads