• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
 অভিযোগ গঠনের শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

ছবি: সংগৃহীত

আইন-আদালত

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা

অভিযোগ গঠনের শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর

  • আদালত প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ জুলাই ২০১৮

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলদার আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়। একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেন। পরে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আলাদা দুটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকো। এর তিন দিন পর খালেদা ও কোকোর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনে অন্তর্ভুক্ত করা কেন বেআইনি ও কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। তবে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ পরে আপিল বিভাগে বাতিল হয়ে যায়।

দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালে আরেকটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তার আবেদনে হাইকোর্ট আবারো মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন এবং মামলাটি কেন বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী। মামলার ২৪ আসামির মধ্যে আরাফাত রহমান কোকো, সাইফুর রহমান, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও মতিউর রহমান নিজামী মারা যাওয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ১৮।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads