• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
হলি আর্টিজানের মামলা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

হলি আর্টিজানের মামলা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে

  • আদালত প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৮

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনার দায়ের করা মামলা বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠান গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শেখ রকিবুল হাসান। আদালতের পেশকার আতাউর রহমান জানান, মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রমের বিষয়ে আজ সোমবার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত ২৬ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো আলোচিত এই মামলা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। এর আগে ২৩ জুলাই আটজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।

আসামিদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে ও দুইজন পলাতক। কারাগারে থাকা আসামিরা হলো জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ও হাদিসুর রহমান সাগর। পলাতক শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনের বিরুদ্ধে চার্জশিটে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়। আর হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত হয় পাঁচজন। তারা হলো রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলো তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে জঙ্গিরা। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এক রেস্তোরাঁকর্মী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads