• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
মাদকের আসামিদের জন্য বিশেষ আদালত-জেল চায় র্যাব

র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

মাদকের আসামিদের জন্য বিশেষ আদালত-জেল চায় র্যাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৮

মাদকের মামলায় গ্রেফতার আসামিদের জন্য বিশেষ আদালত ও জেলখানার সুপারিশ করেছেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত মাদকবিরোধী ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠানে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘দেশের নিম্ন আদালতে বর্তমানে ৩০ লাখ মামলা পেন্ডিং আছে। অনেক আসামি ধরা হয়, কিন্তু মামলার জট ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে বাদী বা সাক্ষী না পাওয়ায় তারা পার পেয়ে যায়। আমি দেশের ৬৪ জেলায় শুধু মাদক সংক্রান্ত আসামিদের বিচারের জন্য একটি আলাদা আদালতের সুপারিশ করছি। সেটা ৫-৬ বছরের জন্যই হোক না কেন।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রতি জেলায় একটা করে তিন সদস্যবিশিষ্ট বিশেষ আদালত করা যেতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিচারে আসামি খালাস পেলে পাক, তারপরও বিচারটা হোক।’

দেশে ৩৬ হাজার বন্দি ধারণ ক্ষমতার জেলখানায় ৯০ হাজার বন্দি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বন্দিদের ৪৪ শতাংশই মাদক মামলার। সময় এসেছে এসব বন্দির জন্য বিশেষ জেল করার। বঙ্গোপসাগরের কোনো দ্বীপ বা বিচ্ছিন্ন কোনো জায়গায় সে জেল হতে পারে। এতে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাটাও সহজ হবে।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অ্যাকশন প্ল্যানে চাকরিতে প্রবেশের সময় ডোপ টেস্ট করানোর সিদ্ধান্তের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে র্যাব ডিজি বলেন, ‘অবশ্যই ভালো খবর। পৃথিবীর কোনো দেশই মাদকমুক্ত নয়। তবে এটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে এটা আমাদের সর্বাত্মক যুদ্ধ। আমি চাই, ডোপ টেস্ট শুধু চাকরির ক্ষেত্রে নয়, এটা রেনডমলি (সবার ক্ষেত্রে) চালু হোক।’

মাদক আইনে পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘মাদকের একমাত্র শাস্তি হতে হবে মৃত্যুদণ্ড। মাদক বিক্রয়, সেবন- সবক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সাজার বিধান থাকতে হবে মৃত্যুদণ্ড।’ মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বেনজীর বলেন, ‘কোনো কিছু শুরু করলে একশ্রেণির মানুষ চিৎকার শুরু করেন। তাদের মধ্য থেকে কলোনিজমের ক্ষতটা শুকায়নি। তারা অন্যের সুরে সুর মেলান, পুতুলনাচের মতো অন্যের ইশারায় নাচতে থাকেন। চিৎকার করে লাভ নেই, এ যুদ্ধে আমরা বিজয়ী না হয়ে ঘরে ফিরব না।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads