• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
মানহানির দুই মামলায় জামিন খালেদার

সুপ্রিম কোর্ট

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

আপিল নিষ্পত্তির সময় বাড়ল 

মানহানির দুই মামলায় জামিন খালেদার

অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টে জামিনের মেয়াদ বেড়েছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল নিষ্পত্তির সময় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই মামলায় জামিনের মেয়াদ আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া পৃথক দুই মানহানি মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার জামিনের মেয়াদ বেড়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার করা পুনর্বিবেচনার আবেদনে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল নিষ্পত্তির মেয়াদ বাড়ানোর এ আদেশ দেন।

আদেশের সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ জামিনের মেয়াদ বাড়ান।

হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আবদুর রেজ্জাক খান ও এ  জে মোহাম্মদ আলী। সরকার পক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমিনুল হক, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন।

দণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানি গত ১২ জুলাই হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এ আপিলের ১২তম দিনের শুনানি হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ম জজ আদালত। একই সঙ্গে জরিমানাও করেন। সেদিন থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি।

মানহানির দুই মামলায় জামিন

স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে জাতির মানহানি এবং ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মো. ইমরুল কায়েস জামিন মঞ্জুরের এই আদেশ দেন।

গত ১১ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই দুই মামলার জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত তখন আবেদনটি গ্রহণ করে ৩১ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৫ জুলাই বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর হাকিম এই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন।

স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে জাতির মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গত ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

চ্যারিটেবল মামলায় জামিন বাড়ল

জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন বিচারিক আদালত। যুক্তিতর্কের ধার্য দিনে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ৫ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন। এদিন অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads