• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
মিম-রাজীবের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দেবে ‘জাবালে নূর’

জাবালে নূর পরিবহন

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

বাসচাপায় মৃত্যু

মিম-রাজীবের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দেবে ‘জাবালে নূর’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ আগস্ট ২০১৮

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীবের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে জাবালে নূর পরিবহনের মালিকপক্ষ। তারা ক্ষতিপূরণের এ টাকা দিতে রাজি হয়েছে বলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হাইকোর্টে জমা দেওয়া লিখিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল রোববার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলম  সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ তথ্য জানায় বিআরটিএ। আগামী ৭ অক্টোবর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

গত বৃহস্পতিবার মিম ও রাজীবের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ‘নো অর্ডার’ করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এতে জাবালে নূর পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে। এরপরই জাবালে নূর পরিবহনের মালিকপক্ষ ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধের বিষয়টি জানাল।

গত ৩০ জুলাই এক সপ্তাহের মধ্যে ওই দুজনের পরিবারকে তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনেরও আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জাবালে নূরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু। কাজল বলেন, “হাইকোর্ট এ দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে বিআরটিএ একটি প্রতিবেদন জমা দিয়ে জানিয়েছে ‘জাবালে নূর দুই পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেবে।’ টাকা দিতে তারা আদালতে সময় চেয়েছিল। কিন্তু আদালত সময় দেননি।”

এদিকে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স কোনো যোগ্যতার ভিত্তি দেওয়া হয় এবং সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআরটিএর নেওয়া পদক্ষেপের প্রতিবেদন নিয়ে শুনানির জন্য ৭ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালকের রেষারেষিতে বাসচাপায় নিহত হয় দুই শিক্ষার্থী। আহত হয় আরো ১০-১৫ শিক্ষার্থী। ঘটনার দিনই নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলায় এরই মধ্যে তিন বাসচালক ও দুই সহকারী এবং বাসের মালিককে রিমান্ডে নিয়েছেন আদালত।

বাসচাপার এ ঘটনায় রাজধানীতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলে। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের স্লোগানে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি জানায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads