• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মানবতাবিরোধী অপরাধে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

পাঁচ আসামির সবাই একাত্তরে ছিলেন মুসলিম লীগ সমর্থক

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ আগস্ট ২০১৮

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পটুয়াখালীতে হত্যা, ধর্ষণের মত মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ রা সবাই তখনকার রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে। আদালত রায় ঘোষণার সময় এ মামলার পাঁচ আসামি ইসহাক সিকদার, আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলভী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সোলায়মান মৃধা কাঠগড়ায় উপস্থিতে ছিলেন। রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা দুটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে।

এর মধ্যে পটুয়াখালীর ইটাবাড়িয়া গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, ১৭ জনকে হত্যার ঘটনায় আসামিদের সবাইকে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর ওই গ্রামের অন্তত ১৫ নারীকে ধর্ষণের ঘটনাতেও একই সাজার রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘এই আসামিরা ধর্ষণকে ব্যবহার করেছেন অস্ত্র হিসেবে। যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তাদের সারা জীবন এই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে। তারা আমাদের সত্যিকারের ওয়ার হিরো। সময় এসেছে এই হিরোদের স্বীকৃতি দেওয়ার।’

আর মৃত্যু পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর সাজা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী, এই রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন আসামিরা।
মামলার নথিতে বলা হয়, পাঁচ আসামির সবাই একাত্তরে ছিলেন মুসলিম লীগ সমর্থক। আর ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তারা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতায় দাঁড়িয়ে একাত্তরে রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে তারা বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads