• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০১৮

রাজধানী ঢাকা শহরের সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ নভেম্বর এ তালিকা দাখিল করতে হবে।  ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, রাজউক ও গণঃপূর্ত মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে গুলশান শপিং সেন্টারের ৬ তলা ভবনের গ্যাস, ইলেকট্রিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ভবন কেন ধ্বংস করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং সনাক্ত করে রাজউক, গণপূর্তমন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো: আশরাফুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।  তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জুবায়দা গুলশান আরা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি প্রতিরোধ নির্বাপন আইন ২০০৩ এর আওতায় গুলশান শপিং সেন্টারকে ব্যবহার অনুপোযোগী ঘোষণা করা হয়। এ কারণে ওই ভবন ভাঙ্গার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ আগস্ট স্বদেশ নামে একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মো. হানিফ জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

পরে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, গুলশান শপিং সেন্টার নিয়ে আজকে একটা রুল জারি হয়েছে। এই রুলে ঢাকা শহরে ঝুকিপূর্ণ বিল্ডিং সনাক্ত করে রাজউক, গণপূর্তমন্ত্রণালয় এবং ফায়ারসার্ভিস নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ কেন নেওয়া হচ্ছে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে গুলশান শপিং সেন্টারের যে ৬ তলা ভবন আছে সেই ভবনের গ্যাস, ইলেকট্রিক সিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ভবন কেন ধ্বংস করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না,সে বিষয়েও রুল জারি করেছেন।

রুলের পাশাপাশি আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকা সিটির অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত করে আদালতে একটি তালিকা দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্তমন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিসকে অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads