• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: লিয়াকত-আমিনুলের রায় যে কোনো দিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ আগস্ট ২০১৮

একাত্তরে  মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের মো. লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখেন।

স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট, হত্যা, গণহত্যার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে পলাতক দুই আসামিদের বিরুদ্ধে।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন গাজী এম এইচ তামিম।

রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, দুই বছর আগে আসামি লিয়াকত আলী ও আমিনুল ইসলামের বিচার শুরু হয়। আজ  প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছে। এখন যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করবে ট্রাইব্যুনাল।

মামলার বিবরণে জানা যায়, লিয়াকত আলী ১৯৭১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ছাত্র থাকাবস্থায় মুসলিম লীগের সদস্য হিসেবে ফান্দাউক ইউনিয়নে রাজাকার বাহিনীর দায়িত্ব পালন করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে লিয়াকত হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার নিজ এলাকায় ফেরেন। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকা অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। বর্তমানে তিনি ওই পদে নেই।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার আলী নগর গ্রামের রজব আলী ১৯৭০ সালে ভৈরব হাজী হাসমত আলী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের কলেজ শাখার সভাপতি হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভৈরবে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে এলাকায় ফিরে আলবদর বাহিনী গঠন করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads