• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
জনতা ব্যাংকে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা বাতিল

হাইকোর্ট

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

দ্রুত পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ

জনতা ব্যাংকে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা বাতিল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ আগস্ট ২০১৮

রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি দ্রুত নতুন করে পরীক্ষা নিতে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগের জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মোহাম্মদ ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।

গত বছর ২১ এপ্রিল শুক্রবার রাজধানীর ইডেন, লালমাটিয়া ও সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজ কেন্দ্রে জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেন। তবে ওই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

২০১৬ সালের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদের বিপরীতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। ওই বছরের ২৪ মার্চ সকাল ও বিকালে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই লাখ প্রার্থী তাতে অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। পরে ২১ এপ্রিল ৯ হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিল চেয়ে অতল করসহ ১৫ পরীক্ষার্থী রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে একই বছরের ২২ মে হাইকোর্ট এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। একই সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার ফল বাতিল করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে ১০ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের আদেশ বহাল থাকে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও সুপ্রকাশ দত্ত অমিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদের ডিনের পক্ষে ছিলেন মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও মজিবর রহমান সম্রাট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads