• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ফারিয়া রিমান্ডে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ফারিয়া মাহজাবিনকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ফারিয়া রিমান্ডে

  • প্রকাশিত ১৭ আগস্ট ২০১৮

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজধানী থেকে গ্রেফতার হওয়া ফারিয়া মাহজাবিনকে (২৮) তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দীকি এ আদেশ দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মকবুল হোসেন বলেন, আজ শুক্রবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফারিয়া মাহজাবিনকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামির পক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

র‌্যাব-২-এর অপারেশন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম আজ শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর পশ্চিম ধানমণ্ডির হাজি আফসার উদ্দিন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফারিয়া মাহজাবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব।

এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে আন্দোলনে নামে স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। পরে এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের শেষ দিকে এসে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। তখন পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।

গত মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদভিত্তিক পোর্টাল ডিএমপি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সপ্তাহব্যাপী ধরে চলা এ আন্দোলনে সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ইন্টারনেটে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে উসকানি ও গুজব ছড়ানোর ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় মোট ৫১টি মামলা হয়েছে; গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯৭ জনকে। ফারিয়া মাহজাবিনকে গ্রেপ্তারের পর সংখ্যাটি গিয়ে দাঁড়াল ৯৮ জনে।

এর মধ্যে তথ্য ও  যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, দণ্ডবিধি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ শিক্ষার্থী, প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদও রয়েছেন। তাঁদের সবাই এখন কারাগারে আছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads