• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
৪২ শিক্ষার্থীর জামিন

নিরাপদ সড়কের দাবিতে গ্রেফতার ৪২ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

৪২ শিক্ষার্থীর জামিন

  • আদালত প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ আগস্ট ২০১৮

নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় আন্দোলন চলাকালে গ্রেফতার বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ শিক্ষার্থীকে গতকাল রোববার জামিন দিয়েছেন আদালত। পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর ৯টি থানার ১২ মামলায় গ্রেফতার ছিলেন তারা। ঢাকা মহানগরের ভিন্ন ভিন্ন হাকিম আদালতের বিচারক তাদের এ জামিন দেন। সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তারা (জিআরও) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঢাকার থানা ও আদালত সূত্র বলছে, আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ৫১টি মামলায় ৫২ শিক্ষার্থীসহ ৯৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল তাদের মধ্যে ৪২ শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন।

তাদের মধ্যে ভাটারা থানার মামলায় জামিন পেয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, শিহাব শাহরিয়ার, আজিজুল করিম অন্তর, মাসহাদ মুর্তজা আহাদ, মেহেদী হাছান ও ফয়েজ আহমেদ। বাড্ডা থানার মামলায় জামিন পেয়েছেন ১২ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে আছেন- নূর মোহম্মদ, আজিজুল হক, মো. হাছান, দোয়ান আহম্মেদ, তরিকুল ইসলাম, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালেদ রেজা, রাশেদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহমেদ ও জাহিদুল হক। ধানমন্ডির মামলায় জামিনপ্রাপ্ত ৯ শিক্ষার্থী হলেন- সোহাদ খান, মাসরিকুল ইসলাম, তমাল সামাদ, মাহমুদুর রহমান, ওমর সিয়াম, মাহাবুবুর রহমান, ইকবাল হোসেন, নাইমুর রহমান ও মিনহাজুল ইসলাম। উত্তরা পশ্চিম থানার জামিনপ্রাপ্ত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মাহবুব খান রবিন, তোফায়েল ও আশিক। কোতোয়ালি থানার জামিনপ্রাপ্ত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মেহেদী, জাহিদুল ও দুলাল। নিউমার্কেট থানার জামিনপ্রাপ্ত তিন শিক্ষার্থী হলেন- আজিজুর, আমিন ও নূর আলম। শাহবাগ থানার জামিনপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন- আবু বকর সিদ্দিক, রিয়াজুল হক উলু হাজী। পল্টন থানার মামলায় জামিনপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী হলেন সাইফুল ওয়াদুদ। রমনা থানার জামিনপ্রাপ্ত তিন শিক্ষার্থী হলেন- আরমানুল হক, খাইরুল আলম দিপু ও দাইয়ান নাফিজ প্রধান।

জানা গেছে, গতকাল সকালে বাড্ডা থানার ১০ শিক্ষার্থী এবং ভাটারা থানার ৬ শিক্ষার্থীর জামিন দেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। এর মধ্যে ইফতেখার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থীর জামিন দেন সিএমএম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরু। এরপরে একে একে ভিন্ন ভিন্ন থানার মামলায় অন্য বিচারকরা বাকি শিক্ষার্থীদের জামিন দেন। সূত্র জানায়, বাড্ডা ও ভাটারা থানার মামলায় গ্রেফতার ২২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ জনের জামিন হয়েছে; বাকিরা কারাগারে আছেন।

জামিন আবেদনে শুনানি করেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, জায়েদুর রহমান প্রমুখ আইনজীবী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads