• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
হত্যা মামলায় নাটোরে ৫ ও ঝিনাইদহে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

নাটোরের সিংড়ায় কৃষক আবদুল কাদের দুদু নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির ৫ জনের ফাঁসি ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

হত্যা মামলায় নাটোরে ৫ ও ঝিনাইদহে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • নাটোর ও ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ আগস্ট ২০১৮

নাটোরের সিংড়ায় কৃষক আবদুল কাদের হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে ঝিনাইদহে কলেজছাত্র ইমরান হোসেন হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে সিংড়ার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান ছিদ্দিক। একই দিনে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক গোলাম আযম কলেজছাত্র হত্যা মামলার রায় দেন। নাটোরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- সিংড়ার বিয়াস গ্রামের মোজাহার আলী ফকিরের ছেলে হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিন, খলিলুর রহমানের ছেলে মো. বুলু, খবির উদ্দিনের ছেলে খলিলুর রহমান ওরফে খলিল, মৃত রহেদ আলীর ছেলে মজিবর রহমান ওরফে মজি এবং গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর বিল হরিবাড়ির মৃত আবুল মোল্লার ছেলে মনির হোসেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- গুরুদাসপুরের বয়েন উদ্দিনের দুই ছেলে আবদুল হাকিম ও নজরুল ইসলাম।

নাটোরে সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম জানান, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মামলা করায় ২০০৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বিয়াস গ্রামে কৃষক আবদুল কাদেরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় কয়েকজন। পরে তাকে দণ্ডিত বুলুর পুকুরপাড়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জয়নব বিবি বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে সিংড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত করে ৯ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে গতকাল রোববার বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের ছয়জন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। অন্যজন মামলা চলাকালে মারা যায়। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. বুলু ও মনির হোসেন পলাতক।

অপরদিকে ঝিনাইদহে কলেজছাত্র ইমরান হোসেন হত্যা মামলায় দণ্ডিতরা হলো- সদর উপজেলার ছোটকামারকুণ্ডু গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইমরান হোসেন, আবদুল মমিন বিশ্বাসের ছেলে নাসিম বিশ্বাস ও শিকারপুর গ্রামের আবদুল মতলেব মুন্সীর ছেলে মনিরুল ইসলাম মুকুল।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২১ অক্টোবর শহরের লাউদিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমরান হোসেন বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। পরদিন সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের একটি পুকুরপাড় থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাবা ঝিনাইদহ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১২ সালের ২৩ জুন চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামি ইমরান হোসেন, নাসিম বিশ্বাস ও মনিরুল ইসলাম মুকুলকে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। দণ্ডিতদের মধ্যে নাসিম বিশ্বাস পলাতক। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি জাকির হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads