• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
জামিন পেলেন ফারিয়া মাহজাবিন

ফারিয়া মাহজাবিন

ছবি : সংগৃহীত

আইন-আদালত

জামিন পেলেন ফারিয়া মাহজাবিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ আগস্ট ২০১৮

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন ধানমণ্ডির একটি কফিশপের মালিক ফারিয়া মাহজাবিন।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আমিনুল হক চৌধুরী এ আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মকবুল হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জিআরও জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ফারিয়া মাহজাবিন জামিনের আবেদন করলে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

মকবুল জানান, ফারিয়া মাহজাবিন ধানমণ্ডিতে একটি কফি শপ চালান। তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ রিয়াসাত। তিনি খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। গত ‌১৬ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর পশ্চিম ধানমণ্ডির হাজি আফসার উদ্দিন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফারিয়া মাহজাবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পরদিন শুক্রবার ফারিয়াকে হাজারীবাগ থানায় সোপর্দ করে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারার মামলা দায়ের করা হয়।

ওইদিন র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফারিয়া ফেইসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে ছাত্র আন্দোলনকে ‘ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও দীর্ঘায়িত করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে’ বিভিন্ন রকম ‘উসকানিমূলক মিথ্যা তথ্য সম্বলিত আডিও ক্লিপ’ ছড়াচ্ছিলেন।

সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও ফারিয়া ও তার ‘সহযোগীরা অন্যায়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পরিচালনা এবং রাস্তায় সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করার উদ্দেশ্যে অপতৎপরতা’ চালাচ্ছিলেন বলেও সেখানে অভিযোগ করা হয়। মামলা হওয়ার পর ফারিয়াকে তিনদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

আদালতে ফারিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. জায়েদুল ইসলাম, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও রিপন কুমার বড়ুয়া।

গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে আন্দোলনে নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের শেষ দিকে এসে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। তখন পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads