• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
‘গায়েবি মামলা’ তদন্তে রিটের শুনানি আগামী সপ্তাহে

মামলা

প্রতীকী ছবি

আইন-আদালত

‘গায়েবি মামলা’ তদন্তে রিটের শুনানি আগামী সপ্তাহে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

‘গায়েবি ও কাল্পনিক’ অভিযোগে চলতি সেপ্টেম্বর মাসে বিএনপিদলীয় শীর্ষ আইনজীবীসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৪ হাজার মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে।

গতকাল সোমবার সরকারপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময় চাইলে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ ‘নট দিস উইক’ (এ সপ্তাহে নয়) বলে আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ রানা। সরকারপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আইনজীবী মাসুদ রানা জানান, শুনানির জন্য রিট আবেদনটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হলে আদালত এ সপ্তাহে নয় বলে আদেশ দেন।

গত রোববার ‘গায়েবি ও কাল্পনিক’ অভিযোগে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বর মাসে দায়ের করা ৪ হাজার মামলা তদন্তে কমিশন গঠন ও মামলা দায়েরে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লাহ মিয়া এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারী তিনজনই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা।

রিটের পর খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে ঢালাওভাবে ‘কাল্পনিক ও গায়েবি’ মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বিরোধী দলকে চাপে রাখতে ভুতুড়ে মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করাই মামলাগুলোর উদ্দেশ্য। সরকার চায় বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যাতে মাঠে থাকতে না পারে।

তিনি বলেন, মামলাগুলো সঠিকভাবে হয়েছে কি না তা তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাল্পনিক মামলা করে যেন হয়রানি না করা হয় তার নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।

খন্দকার মাহবুব হোসেন জানান, শুধু সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ৩ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় ৪ হাজার মামলা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব মামলায় গ্রেফতার বাণিজ্য করছে।

রিট আবেদনে আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অগণিত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে গায়েবি বা আজগুবি মামলা দায়ের করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারির আর্জি রয়েছে। বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার, ডিএমপি রমনা জোনের উপ ও অতিরিক্ত উপকমিশনার, রমনা, পল্টন ও শাহবাগ থানার ওসিসহ মোট ৯ জনকে।

এ ছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে আবেদনকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘কাল্পনিক’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে এ ধরনের মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকতে, তদন্ত বন্ধ রাখতে এবং এ ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। কমিটিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads