• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে মামলার রায়

সুপ্রিম কোর্ট

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

একুশ আগস্টের মামলার রায়

সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে মামলার রায়

  • নাজমুল আহসান রাজু
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৮

একুশ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের নথিপত্র শিগগিরই যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী মঙ্গল কিংবা বুধবার রায়ের নথিপত্র উচ্চ আদালতে পৌঁছতে পারে। আদালত সূত্র জানিয়েছে, রায়ের নথি পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন বিচারিক আদালতের সংশ্লিষ্টরা।

ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ে হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হয়। এই প্রক্রিয়া ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতের অনুমোদন) নামে বহুল পরিচিত। নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্সে ও রায়ের যাবতীয় নথি সুপ্রিম কোর্টে আসার পর সংশ্লিষ্ট শাখা তা গ্রহণ করে। এর মধ্যে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পেলে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে দণ্ডিত আসামিদের। আর সরকার যদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডেথ রেফারেন্স শুনানি করতে চায় তাহলে মামলার পেপারবুক তৈরি করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন পেপারবুক তৈরির পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। পেপারবুক তৈরির পর প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য।

এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হতে অনেক সময় লাগতে পারে। কারণ ৪৯ আসামির সাজা হয়েছে আলোচিত এ মামলায়। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ১১ আসামির। ফলে প্রত্যেকের জন্য আলাদা পেপারবুক তৈরি করা সময়সাপেক্ষ।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার রায় ঘোষণার ছয় দিনের মাথায় গত বছর ২২ জুন মামলার নথি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে। দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাত্র সাত দিনের মাথায় শুরু হয়ে যায় ওই মামলার পেপারবুক তৈরির কাজ। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ের নথি পৌঁছতেও লেগেছিল মাত্র সাত দিন।

সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, রায়ে যাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে তাদের আদালত থেকে বিনা খরচে রায়ের অনুলিপি দেওয়া হয়। আর তারা যদি আপিল করে সেটা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসবে। সে ক্ষেত্রে আমরা যত দ্রুত সম্ভব শুনানির জন্য পদক্ষেপ নেব। তবে এটাতে পেপারবুক তৈরি করার বিষয় রয়েছে, সেগুলো আদালতের বিষয়। মামলার আপিল শুনানিতে আমাদের পদক্ষেপগুলো আমরা নেব।

গত বুধবার পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের ভবনে স্থাপিত ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নৃশংস ও ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা ও বিস্ফোরকের পৃথক দুই মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সহকারী হারিছ চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। পুলিশের সাবেক তিন আইজিসহ ১১ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদের সাজা।

আদালত রায়ে বলেন, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১৯ জনের সাজা কার্যকর হবে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে। তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে যাবজ্জীবন সাজা কার্যকর হবে না। অন্যদিকে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৯ জনের কারাদণ্ডাদেশ একযোগে কার্যকর হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ ধারা অনুসারে দণ্ডিত আসামিদের হাজতবাসের সাজা দণ্ডাদেশ থেকে বাদ যাবে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে দণ্ডাদেশ কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads