• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

গণসংহতিকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না কেন : হাইকোর্ট

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

গণসংহতিকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না কেন : হাইকোর্ট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০১৮

রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দলটিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে হবে।

আজ রোববার একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। গত সপ্তাহে গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জোনায়েদ সাকি গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করতে নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। নোটিশে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। পরে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে জানায়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধি, ২০০৮ ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি দলটি। ১৫ দিনের মধ্যে এর ব্যাখা দাখিল করতে বলা হয় গণসংহতি আন্দোলনকে। পরে ১৩ এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়টি ঠিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও ব্যাখ্যাসহ আবার তা ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়। এরপরও গত ১৯ জুন নির্বাচন কমিশনের উপসচিব এক নোটিশে জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২-এর দুটি বিধানের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। এ ছাড়া গঠনতন্ত্রের ১৮ অনুচ্ছেদের বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি এবং গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের অনুচ্ছেদ ৯০ সি (১) (ই) এর সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের গঠনতন্ত্রের ১০ (চ) সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে আবেদনটি খারিজ করা হল। এ খারিজ আদেশ বাতিল, প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনকে। এ নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট করেন দলের প্রধান সমন্বয়কারী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads