• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
খালেদার খালাস চেয়ে আপিল 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

খালেদার খালাস চেয়ে আপিল 

চিকিৎসার রিটের আদেশ আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর ২০১৮

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের সাত বছরের দণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আপিলে খালাসের পক্ষে ২২টি যুক্তি দেখিয়েছেন তার আইনজীবীরা। সঙ্গে তার জামিনও চাওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদনটি দাখিল করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আপিলে ৭০০ পৃষ্ঠারও বেশি নথিপত্র রয়েছে।

আইনজীবী নওশাদ জমির বলেন, বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে আমরা জামিন চেয়েছি। তিনি বলেন, চ্যারিটেবল ট্রাস্ট একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট। এটা সরকারি কোনো ট্রাস্ট ছিল না। এ ছাড়া এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটাও সত্য নয়। 

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওইদিন রায় ঘোষণার ১৬ দিন পর এ অনুলিপি আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন। প্রকাশিত রায় ৬৩২ পৃষ্ঠার।

গত ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। ওই টাকা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে। মামলার অপর তিন আসামিকেও একই দণ্ডাদেশ দেন আদালত। এটি হলো খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মামলার রায়।

রায়ের পরদিনই সত্যায়িত অনুলিপি চেয়ে আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। ১৬ দিন পর রায়ের অনুলিপি গতকাল দেওয়া হলো তাদের। এ ছাড়া ট্রাস্টের জন্য কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ারও আদেশ দেন আদালত।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসীন থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে টাকা আত্মসাৎ করা কাম্য নয়। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের অপরাধ না করতে পারে সেজন্য কঠিন শাস্তি প্রয়োজন।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠের অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায়ের পরপরই তাকে নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

চিকিৎসা রিটের আদেশ আজ : খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিটের আদেশ দেওয়া হবে আজ সোমবার। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। এর আগে আদালত খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছ থেকে কিছু সম্পূরক তথ্য গ্রহণ করেন।

গত ১৩ নভেম্বর এ রিট আবেদনের ওপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ১৫ নভেম্বর আদেশের দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন আদেশ না দিয়ে ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। গতকাল আবার এক দিন পেছানো হলো।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

গত ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়, বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষ না করে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads