• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

আইন-আদালত

কক্সবাজার কারাগার

৩৮শ’ বন্দির মধ্যে ২৫শ’ মাদক মামলার আসামি

  • মাহাবুবুর রহমান, কক্সবাজার
  • প্রকাশিত ২০ নভেম্বর ২০১৮

কক্সবাজার কারাগারের ৩৮শ’ বন্দির মধ্যে ২৫শ’ বিভিন্ন মাদক মামলার আসামি। জেলায় মাদকের ভয়াবহতা সীমাহীনভাবে বেড়েছে- এ সংখ্যা সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ জানান, কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৫৩০ জন, কিন্তু বর্তমানে বন্দির সংখ্যা ৩৮০০ জন- যার মধ্যে ২০০ জন নারী। বন্দিদের ৬৫ ভাগই মাদক মামলার আসামি। তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারে মরণনেশা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের বিস্তার হওয়াতে এ মামলার আসামিও বেশি। ইতোমধ্যে নতুন আসা কয়েদিদের পায়ুপথ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে, যা অন্য কোনো কারাগারে চিন্তাই করা যায় না। তিনি বলেন, কারাগারের ভেতরে-বাইরে মাদকের ছায়া যাতে পড়তে না পারে সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, মাদকের ভয়াবহতা এত বেড়ে গেছে, যা কল্পনার বাইরে। প্রতিটি ঘরে এখন ইয়াবা ব্যবসায়ী, না হয় পাচারকারী আর না হয় সেবনকারী পাওয়া যাবে। জানি না আমাদের আগামী প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।

রামুর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষক নেতা হোসাইনুল ইসলাম মাতবর বলেন, আগে বিভিন্ন কাজে কক্সবাজারের বাইরে গেলে অন্য জেলার মানুষ আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইত। গায়ে পড়ে ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করত। কিন্তু এখন অন্য জেলার লোকজন আমাদের এড়িয়ে চলে, কক্সবাজারের পরিচয় দিলে সবাই হাসাহাসি করে। লজ্জায় মুখ ঢাকার জায়গা পাই না। জানি না এই বদনাম কত দিনে ঘুচবে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোটেক জিয়া উদ্দিন আহমদ বলেন, বর্তমানে মাদকের মামলাগুলো খুব দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। কোনো ইয়াবা মামলার জামিন হচ্ছে না। অপরাধ প্রমাণিত হলে সাজা দেওয়া হচ্ছে।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, যোগদানের পর মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।  অনেক মাদক ব্যবসায়ীর ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত অভিযানের কারণে বেশিরভাগ ইয়াবা ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সোমেন মণ্ডল বলেন, একটি বিষয় এখন নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে। সেটা হচ্ছে বিমানযোগে ইয়াবা পাচার নিয়ে। বিমানযাত্রীদের মধ্যে এতবেশি ইয়াবা ধরা পড়ছে, যা আগে কখনো ঘটেনি। এতে করে বিমানবন্দরেই আমাদের নিয়মিত ফোর্স রাখতে হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads